ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নতুন নীতিমালা মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে ভুয়া ভিসায় আটকের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতির অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে না, মালয়েশিয়ায় নাহিদ ইসলাম আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার মালয়েশিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে প্রবাসীদের প্রত্যাশা বিমানবন্দরে কড়াকড়ি, আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিল মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট না মানলে ক‍র্মী পাঠানো অনিশ্চিত!

প্রবাস বা‍র্তা
  • আপডেটের সময় : ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 692

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

 

প্রবাসী কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক কর্মংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল অবশেষে স্বীকার করেছেন সিন্ডিকেটের কারণে অভিবাসন ব্যয় বাড়েনি বরং অভিবাসন ব্যয় বেড়েছে মধ্যসত্বভোগী দালালচক্রের কারণে। তিনি বলেন, আমরা সীমিত সংখ্যক লাইসেন্সের মাধ্যমে কর্মী পাঠালে বলে আমি সিন্ডিকেটের পক্ষে; আর না পাঠালে আমি ব্যর্থ, এতে কয়েক লাখ পরিবার বঞ্চিত হবে।

 

বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়ার খরচ বাড়েনি। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আগের সরকার চুক্তি করে রেখেছে যে, ‘তোমরা রিক্রুটিং এজেন্সির লিস্ট দিবা আমরা সিলেক্ট করবো।’ এটা দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি। যেটাকে আমরা কখনো কখনো ‘সিন্ডিকেট’ বলি। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন আমাদের সবাই বলেছে সিন্ডিকেট করা যাবে না। সিন্ডিকেট না করতে হলে চুক্তি পরিবর্তন করতে হবে। সেটাতো মালয়েশিয়া সরকারকে পিটিয়ে করতে পারব না। এখন তাদের (মালয়েশিয়া) সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে। যদি সে চুক্তি পরিবর্তন না করে তাহলে আমার সামনে দুইটা পথ খোলা আছে।

 

এক হচ্ছে তার (মালয়েশিয়ার) কথা অনুযায়ী ২৫, ৫০ বা ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো, আরেকটি হচ্ছে তাদেরকে বলা যে, আমরা লোকই পাঠাব না। এখন আমি যদি ২৫, ৫০ বা ১০০ এজেন্সির মাধ্যমে লোক পাঠাই তাহলে সবাই বলবে আমি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কুৎসা রটনা করবে আবার যদি কর্মী না পাঠাই তাহলে বলবে আমরা ব্যর্থ। আমার হাজার হাজার কর্মী যেতে পারবে না। এটা মালয়েশিয়া মনে রাখবে। লোক না পাঠালে পরবর্তীতে আমার এক থেকে দুই লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবাই এই ব্যর্থতার জন্য আমাকে দোষারোপ করবে। আমরা পুরো পিকচারটা জানার চেষ্টা করি না। আমরা সিন্ডিকেট সিন্ডিকেট করে ভালো বলতে পারি। সিন্ডিকেট মানে মনোপলি, মনোপলি মানে হচ্ছে শ্রমিকদের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া।

 

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট হয়েছিল; যদি বলি ৬-৭ লাখ টাকায় লোক গিয়েছে। দেখেন সৌদি আরবেতো সিন্ডিকেট নাই, বাহারাইন, কুয়েত কাতারে সিন্ডিকেট নাই। সেখানে কি ৬-৭ লাখ টাকায় লোক যায় না? বলেন আপনারা। সমস্যা কি সিন্ডিকেট? সিন্ডিকেটও সমস্যা; সিন্ডিকেট ছাড়াও সমস্যা। আপনাদের আমি বলি সমস্যা হচ্ছে অনেক মধ্যসত্বভোগী (দালাল) আছেন। যদি আপনি কয়েকটা (এজেন্সি) নির্দিষ্ট করে দেন সেখান সেখানেও মধ্যসত্বভোগী, যদি না করে দেন সেখানেও মধ্যসত্বভোগী।

 

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট না মানলে ক‍র্মী পাঠানো অনিশ্চিত!

আপডেটের সময় : ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

প্রবাসী কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক কর্মংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল অবশেষে স্বীকার করেছেন সিন্ডিকেটের কারণে অভিবাসন ব্যয় বাড়েনি বরং অভিবাসন ব্যয় বেড়েছে মধ্যসত্বভোগী দালালচক্রের কারণে। তিনি বলেন, আমরা সীমিত সংখ্যক লাইসেন্সের মাধ্যমে কর্মী পাঠালে বলে আমি সিন্ডিকেটের পক্ষে; আর না পাঠালে আমি ব্যর্থ, এতে কয়েক লাখ পরিবার বঞ্চিত হবে।

 

বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়ার খরচ বাড়েনি। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আগের সরকার চুক্তি করে রেখেছে যে, ‘তোমরা রিক্রুটিং এজেন্সির লিস্ট দিবা আমরা সিলেক্ট করবো।’ এটা দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক চুক্তি। যেটাকে আমরা কখনো কখনো ‘সিন্ডিকেট’ বলি। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন আমাদের সবাই বলেছে সিন্ডিকেট করা যাবে না। সিন্ডিকেট না করতে হলে চুক্তি পরিবর্তন করতে হবে। সেটাতো মালয়েশিয়া সরকারকে পিটিয়ে করতে পারব না। এখন তাদের (মালয়েশিয়া) সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে। যদি সে চুক্তি পরিবর্তন না করে তাহলে আমার সামনে দুইটা পথ খোলা আছে।

 

এক হচ্ছে তার (মালয়েশিয়ার) কথা অনুযায়ী ২৫, ৫০ বা ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো, আরেকটি হচ্ছে তাদেরকে বলা যে, আমরা লোকই পাঠাব না। এখন আমি যদি ২৫, ৫০ বা ১০০ এজেন্সির মাধ্যমে লোক পাঠাই তাহলে সবাই বলবে আমি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কুৎসা রটনা করবে আবার যদি কর্মী না পাঠাই তাহলে বলবে আমরা ব্যর্থ। আমার হাজার হাজার কর্মী যেতে পারবে না। এটা মালয়েশিয়া মনে রাখবে। লোক না পাঠালে পরবর্তীতে আমার এক থেকে দুই লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবাই এই ব্যর্থতার জন্য আমাকে দোষারোপ করবে। আমরা পুরো পিকচারটা জানার চেষ্টা করি না। আমরা সিন্ডিকেট সিন্ডিকেট করে ভালো বলতে পারি। সিন্ডিকেট মানে মনোপলি, মনোপলি মানে হচ্ছে শ্রমিকদের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া।

 

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট হয়েছিল; যদি বলি ৬-৭ লাখ টাকায় লোক গিয়েছে। দেখেন সৌদি আরবেতো সিন্ডিকেট নাই, বাহারাইন, কুয়েত কাতারে সিন্ডিকেট নাই। সেখানে কি ৬-৭ লাখ টাকায় লোক যায় না? বলেন আপনারা। সমস্যা কি সিন্ডিকেট? সিন্ডিকেটও সমস্যা; সিন্ডিকেট ছাড়াও সমস্যা। আপনাদের আমি বলি সমস্যা হচ্ছে অনেক মধ্যসত্বভোগী (দালাল) আছেন। যদি আপনি কয়েকটা (এজেন্সি) নির্দিষ্ট করে দেন সেখান সেখানেও মধ্যসত্বভোগী, যদি না করে দেন সেখানেও মধ্যসত্বভোগী।