ঢাকা , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে ভুয়া ভিসায় আটকের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতির অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে না, মালয়েশিয়ায় নাহিদ ইসলাম আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার মালয়েশিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে প্রবাসীদের প্রত্যাশা বিমানবন্দরে কড়াকড়ি, আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিল মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া জঙ্গিবাদ সন্দেহে তদন্তে সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ

নি‍র্বাচনে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে

প্রবাস বা‍র্তা
  • আপডেটের সময় : ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • / 483

 

গোটা বিশ্বে‌ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই (AI) প্রযুক্তি আশির্বাদ। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ অভিশাপ হয়ে আসছে। আগামীতে প্রযুক্তির এই ভার্সনের কুফল মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে হিমশিম খেতে হবে। বিভিন্ন অঞ্চলে বা গোটা দেশে অস্থিতিশীলতা ও সং’ঘা’ত, স’হিং’স’তা এমনকি গৃ’হ’যু’দ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

 

এই আশঙ্কার খুব সাধারণ একটা কারণ হলো, অনিয়ন্ত্রিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সমাজের বড় একটি অংশ খুব বেশি আসক্ত। আসক্ত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করার মতো বিবেক বিবেচনা নেই। এতটুকু ধৈর্য পর্যন্ত নেই। ‘হুজুগে বাঙ্গালী’ এই কথাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি কার্যকর দেখা যাচ্ছে।

 

আংশিক বক্তব্য, অসম্পূর্ণ তথ্য, কোন তথ্য প্রমাণ নেই কিন্তু কেউ একজন নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে, সেটাকেই ধর্মগ্রন্থের বাণী মনে করছেন অনেকে। কোন প্রকার যাচাই বাছাই তো দূরের কথা, একটু মনোযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না। সেখানে এ আই প্রযুক্তি দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা যাচ্ছে। তাহলে পরিণতি খুবই আশঙ্কার।

 

যেই প্রযুক্তি দিয়ে হুবহু একজনের চেহারা বানানো যায়, তার কথা, হাঁটাচলা সবকিছু বানানো সম্ভব। এমনকি এই উদ্ভাবনের সফলতা প্রমাণ করতে কিছু পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে একজনের কোন একটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ড করা এবং এ আই ব্যবহার করে বানানো ভিডিও দুটিকে পাশাপাশি রাখা হয়। এরপর যার ভিত্তিও তাকে শনাক্ত করতে বলা হয়। অবাক কান্ড হলো, স্বাভাবিক নজরে দুটি ভিডিও ফুটেজ আলাদা করে শনাক্ত করতে পারেননি (যদিও প্রযুক্তির ব্যবহারে সেটা শনাক্ত করা সম্ভব)।

 

তাহলে এবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় একজনের চেহারার সঙ্গে অন্য কারো চেহারা মিলিয়ে আপত্তিকর ভিডিও, বা রাজনৈতিক বক্তব্য, ধর্মীয় স্পর্শকাতর ভিডিও, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এমন অডিও বা ভিডিও তৈরি করে উদ্দেশ্য হাসিল করা সহজ।

 

আর সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ধরণের আশঙ্কা তো আরো বেশি থাকতে পারে। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন বা থাকবেন তাদেরকে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম হলেই চলবে না। কঠোর আইনগত ব্যবস্থার কথা এখনই চিন্তা করতে হবে। না হলে গুজব যখন গজবে পরিনত হয়, তখন কিন্তু সবাইকেই খেসারত দিতে হয়।

লেখক::মিরাজ হোসেন গাজী, টেলিভিশন সাংবাদিক ও ডিজিটাল পাবলিসিটি বিশ্লেষক

শেয়ার করুন

নি‍র্বাচনে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে

আপডেটের সময় : ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

গোটা বিশ্বে‌ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই (AI) প্রযুক্তি আশির্বাদ। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ অভিশাপ হয়ে আসছে। আগামীতে প্রযুক্তির এই ভার্সনের কুফল মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে হিমশিম খেতে হবে। বিভিন্ন অঞ্চলে বা গোটা দেশে অস্থিতিশীলতা ও সং’ঘা’ত, স’হিং’স’তা এমনকি গৃ’হ’যু’দ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

 

এই আশঙ্কার খুব সাধারণ একটা কারণ হলো, অনিয়ন্ত্রিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সমাজের বড় একটি অংশ খুব বেশি আসক্ত। আসক্ত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করার মতো বিবেক বিবেচনা নেই। এতটুকু ধৈর্য পর্যন্ত নেই। ‘হুজুগে বাঙ্গালী’ এই কথাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি কার্যকর দেখা যাচ্ছে।

 

আংশিক বক্তব্য, অসম্পূর্ণ তথ্য, কোন তথ্য প্রমাণ নেই কিন্তু কেউ একজন নিজের মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে, সেটাকেই ধর্মগ্রন্থের বাণী মনে করছেন অনেকে। কোন প্রকার যাচাই বাছাই তো দূরের কথা, একটু মনোযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না। সেখানে এ আই প্রযুক্তি দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা যাচ্ছে। তাহলে পরিণতি খুবই আশঙ্কার।

 

যেই প্রযুক্তি দিয়ে হুবহু একজনের চেহারা বানানো যায়, তার কথা, হাঁটাচলা সবকিছু বানানো সম্ভব। এমনকি এই উদ্ভাবনের সফলতা প্রমাণ করতে কিছু পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে একজনের কোন একটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ড করা এবং এ আই ব্যবহার করে বানানো ভিডিও দুটিকে পাশাপাশি রাখা হয়। এরপর যার ভিত্তিও তাকে শনাক্ত করতে বলা হয়। অবাক কান্ড হলো, স্বাভাবিক নজরে দুটি ভিডিও ফুটেজ আলাদা করে শনাক্ত করতে পারেননি (যদিও প্রযুক্তির ব্যবহারে সেটা শনাক্ত করা সম্ভব)।

 

তাহলে এবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় একজনের চেহারার সঙ্গে অন্য কারো চেহারা মিলিয়ে আপত্তিকর ভিডিও, বা রাজনৈতিক বক্তব্য, ধর্মীয় স্পর্শকাতর ভিডিও, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এমন অডিও বা ভিডিও তৈরি করে উদ্দেশ্য হাসিল করা সহজ।

 

আর সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ধরণের আশঙ্কা তো আরো বেশি থাকতে পারে। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন বা থাকবেন তাদেরকে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম হলেই চলবে না। কঠোর আইনগত ব্যবস্থার কথা এখনই চিন্তা করতে হবে। না হলে গুজব যখন গজবে পরিনত হয়, তখন কিন্তু সবাইকেই খেসারত দিতে হয়।

লেখক::মিরাজ হোসেন গাজী, টেলিভিশন সাংবাদিক ও ডিজিটাল পাবলিসিটি বিশ্লেষক