সম্প্রীতির জয়গানে মালয়েশিয়ায় বৈশাখী উৎসব

- আপডেটের সময় : ০১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 157
সম্প্রীতির জয়গানে বৈশাখী উৎসব করলেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা।
উৎসবের মূল আয়োজনে ছিল মঞ্চে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিস্কুট দৌড়, বল পাসিং, কাপল গেইমস, সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য এবং চিঠি পাঠের মতো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
আয়োজনের মূল উদ্যোক্তায় ছিল বাংলাদেশি এক্সপ্যাটস ইন মালয়েশিয়া (বিডিএক্সপ্যাটস)। উৎসবে লাল-সাদা শাড়ি, পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে হাজারো প্রবাসীরা অংশ নেন এই মিলনমেলায়। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ করে নিতে ২৬ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী এই উৎসবটি চলে কুয়ালালামপুর কেএলএসসিএএইচ হলে।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী পর্বে বৈশাখী মেলা ১৪৩২ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কার্যনির্বাহী সদস্য অসীম সাহা রায় ও সদস্য সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় মেলার মূল কার্যক্রম শুরু হয়। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান মেলার উদ্বোধন ঘোষণার পাশাপাশি “প্রবাসের খেরোখাতা” শিরোনামে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। উৎসবের সার্বিক উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অসীম সাহা রায় ও ড. মারজিয়া জান্নাত মহুয়া।
আলোচনা পর্বের আগে, আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এবং অন্যান্য অতিথিদের উষ্ণ সংবর্ধনা জানানো হয়। বিডিএক্সপ্যাটস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান রিয়াজ, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী তারেক, পাভেল সারওয়ার, ডা. তানিয়া ইসলাম এবং মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হাইকমিশনারের সাথে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হাইকমিশনার শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, “আসুন, আমরা নতুন বছরে শপথ নিই বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা কাজ করে যাব। প্রবাসে থেকেও আমরা যেন দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের সহযাত্রী হতে পারি।”
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের কনস্যুলেট পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
বিডিএক্সপ্যাটস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান রিয়াজ, কার্যনির্বাহী সদস্য পাভেল সারওয়ার তাদের শৈশবের নববর্ষ উদ্যাপনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “এই উৎসব কেবল একদিনের আনন্দ নয়, এটি আমাদের শেকড়ের সাথে সংযোগ।”
উৎসবের মূল টাইটেল স্পন্সরে ছিল বাংলাদেশের সিটি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান, সিবিএল মানি ট্রান্সফার। প্রতিষ্ঠানটি উৎসবে র্যাফেল ড্রতে তিনটি রিটার্ন কাপল টিকিট প্রদান করে। এসময় সিবিএল মানি ট্রান্সফারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাঈদুর রহমান ফারাজী উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অন্যান্য স্পন্সরদের মধ্যে ছিলেন ব্রাইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, এনবিএল মানি ট্রান্সফার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার, ই-স্মার্টওয়ে এসডিএন বিএইচডি , এনবিএল মানি ট্রান্সফার, মেডিলিংক গ্লোবাল (মালয়েশিয়া) এসডিএন বিএইচডি এবং জেএমজি কার্গো অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস এসডিএন বিএইচডি।
মেলায় ফুড পার্টনার ছিল ভিআইপি পিঠা ঘর, প্রিন্টিং পার্টনার স্মার্ট ডিজাইন অ্যান্ড প্রিন্টিং সল্যুশন এবং কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মালয়েশিয়া (বিএসওএম) এবং ফটোগ্রাফি পার্টনার ছিল ক্লিকস অব শাওন।