ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নতুন নীতিমালা মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে ভুয়া ভিসায় আটকের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতির অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে না, মালয়েশিয়ায় নাহিদ ইসলাম আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার মালয়েশিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে প্রবাসীদের প্রত্যাশা বিমানবন্দরে কড়াকড়ি, আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিল মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্ত করতে দুবাইতে আইনজীবী নিয়োগ

প্রবাস বার্তা, ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 380

 

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে দুবাইতে বিক্ষোভ করায় বিভিন্ন মেয়াদে ৫৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের মুক্তি জন্য আইনজীবী ওলোরা আফরিনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

 

সোমবার (১৩ আগষ্ট) মিশন চিফ মুহাম্মদ মিযানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে আইনজীবী ওলোরা আফরিনকে সাহায্য করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) অ্যাম্বাসি।

 

এর আগে ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে (ফ্লাড) জানায়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে তারা।

 

ফ্লাডের আইন ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম জানান, এই কর্মীদের জন্য আইনি সহায়তা দেয়ার সময় জানতে পারি,এসব কর্মীর কেউই ওই দেশের আইন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। দেশপ্রেমিক এই সব কর্মীকে মুক্ত করার জন্য ফ্লাডের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত অ্যাডভোকেট জাকিয়া আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফ্লাডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেন।

 

এরইমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুইটি ল’ ফার্মের সঙ্গেও তার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাডের পক্ষ থেকে সলিডারিটি সেন্টার, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জেনেভায় হিউমান রাইটস কমিশনের কাছে সহায়তার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফাওজিয়া করিম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ও ফ্লাডকে সব আইনি সহযোগিতা প্রদান করার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

 

এসব কর্মীদের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রায়াল করে সাজা দেয়া হয়েছে এবং তাদের সহায়তায় তখন বাংলাদেশ দূতাবাস কোন ভূমিকা রাখেনি দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। বর্তমানে ওই সব কর্মীদের সহায়তার জন্য অ্যাডভোকেট জাকিয়া আক্তার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা নম্বর জানতে চাইলে তারা জানান যে, তারা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করছেন। কিন্তু কর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে কোন দৃশ্যমান ফল এখনও চোখে পড়েনি। তাই এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন ফ্লাড বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

 

ফ্লাডের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এর পক্ষ থেকে আমরা এই বন্দিদের সর্বোত্তম আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনি যদি পরিবারের সদস্য হন বা তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কাউকে চেনেন, তবে অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তাদের পাশে আছি, তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

শেয়ার করুন

৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্ত করতে দুবাইতে আইনজীবী নিয়োগ

আপডেটের সময় : ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

 

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে দুবাইতে বিক্ষোভ করায় বিভিন্ন মেয়াদে ৫৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের মুক্তি জন্য আইনজীবী ওলোরা আফরিনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

 

সোমবার (১৩ আগষ্ট) মিশন চিফ মুহাম্মদ মিযানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে আইনজীবী ওলোরা আফরিনকে সাহায্য করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) অ্যাম্বাসি।

 

এর আগে ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে (ফ্লাড) জানায়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে তারা।

 

ফ্লাডের আইন ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম জানান, এই কর্মীদের জন্য আইনি সহায়তা দেয়ার সময় জানতে পারি,এসব কর্মীর কেউই ওই দেশের আইন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। দেশপ্রেমিক এই সব কর্মীকে মুক্ত করার জন্য ফ্লাডের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত অ্যাডভোকেট জাকিয়া আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফ্লাডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেন।

 

এরইমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুইটি ল’ ফার্মের সঙ্গেও তার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাডের পক্ষ থেকে সলিডারিটি সেন্টার, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জেনেভায় হিউমান রাইটস কমিশনের কাছে সহায়তার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফাওজিয়া করিম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ও ফ্লাডকে সব আইনি সহযোগিতা প্রদান করার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

 

এসব কর্মীদের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রায়াল করে সাজা দেয়া হয়েছে এবং তাদের সহায়তায় তখন বাংলাদেশ দূতাবাস কোন ভূমিকা রাখেনি দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। বর্তমানে ওই সব কর্মীদের সহায়তার জন্য অ্যাডভোকেট জাকিয়া আক্তার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা নম্বর জানতে চাইলে তারা জানান যে, তারা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করছেন। কিন্তু কর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে কোন দৃশ্যমান ফল এখনও চোখে পড়েনি। তাই এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন ফ্লাড বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

 

ফ্লাডের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এর পক্ষ থেকে আমরা এই বন্দিদের সর্বোত্তম আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনি যদি পরিবারের সদস্য হন বা তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কাউকে চেনেন, তবে অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তাদের পাশে আছি, তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’