ঢাকা , রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নতুন নীতিমালা মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে ভুয়া ভিসায় আটকের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতির অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার কুয়ালালামপুরে বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে না, মালয়েশিয়ায় নাহিদ ইসলাম আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার মালয়েশিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে প্রবাসীদের প্রত্যাশা বিমানবন্দরে কড়াকড়ি, আরও ১২৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিল মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / 347

 

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। রোববার (১৭ মার্চ) দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম পর্বে হাইকমিশন প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান।

 

বিকালে হাইকমিশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত। এ দিন উপলক্ষে জাতির পিতার উপর আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এবং তার সহধর্মিণী, পেন্ডোরা চৌধুরী শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনের কেক কাটেন। সবশেষে, বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলুন উড়ানো হয়।

 

হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন হাইকমিশনার। তিনি এ প্রসঙ্গে শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন।

 

শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তাঁর কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও তাদের শিশুসন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

আপডেটের সময় : ০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

 

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। রোববার (১৭ মার্চ) দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম পর্বে হাইকমিশন প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান।

 

বিকালে হাইকমিশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত। এ দিন উপলক্ষে জাতির পিতার উপর আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এবং তার সহধর্মিণী, পেন্ডোরা চৌধুরী শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনের কেক কাটেন। সবশেষে, বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলুন উড়ানো হয়।

 

হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন হাইকমিশনার। তিনি এ প্রসঙ্গে শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন।

 

শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তাঁর কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও তাদের শিশুসন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।