শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের বোঝা লাঘব করতে শ্রমিক কার্ড চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। দেশ ব্যাপী ১০ লাখেরও বেশি ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যকে উপকৃত করবে এবং ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করবেন। বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবস অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।

আনোয়ারের মতে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য শ্রমিকদের অবদানের প্রশংসা করা এবং তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের বোঝা লাঘব করা। সিভিল ওয়ার্কার্স কার্ড হল যে কোনও ইউনিয়ন সদস্যের কর্মী কার্ড আছে, তাকে সারা দেশে সুযোগ-সুবিধাগুলিতে ছাড় দেওয়ার জায়গা প্রদান করা।

আজিয়াটা এরিনা, বুকিত জলিল-এ ২০২৫ সালের শ্রমিক দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে শ্রমিক দিবসের বার্তা প্রদানকালে তরুণদের উদ্দেশ্য আনোয়ার ইব্রামি বলেন যে মাদানী কর্মী কার্ডধারীরা এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী ১০০ টিরও বেশি কোম্পানিতে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করার যোগ্য।

কোম্পানিগুলির মধ্যে রয়েছে সুপারমার্কেট এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ড যেমন, AEON, Mydin, Jakel, Marrybrown, Genting, Old Town White Coffee, Zuss Coffee, SOCAR Ges Bateriku|।

এই উদ্যোগটি কেবল দেশের কর্মীবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রতীক নয়, বরং সকলের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার সরকারের প্রচেষ্টারও একটি অংশ।

এছাড়াও, তিনি তিনটি রাজ্যে, কুয়ালালামপুর, পেনাং এবং জোহরে ওয়ান-স্টপ কর্মচারী পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই কেন্দ্রটি শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার সহজতর করার জন্য এবং কর্মসংস্থান-সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান দ্রুত করার জন্য বিভিন্ন শ্রম-সম্পর্কিত পরিষেবাকে এক ছাদের নীচে একত্রিত করবে।

এই ওয়ান-স্টপ সেন্টারের মাধ্যমে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সাথে জড়িত সমস্ত কর্মচারী বিষয়গুলি আরও দক্ষতার সাথে, দ্রুত এবং জনবান্ধবভাবে সম্পন্ন করা যাবে।

শ্রমিক দিবস অনুষ্ঠানে মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেওং তার বক্তব্যে বলেছেন, দেশের বেকারত্বের হার ৩.১ শতাংশে কমেছে, যা এটিকে ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হারে পরিণত করেছে।

মানবসম্পদমন্ত্রী বলেছেন যে দেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা এবং শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির কারণে এই হ্রাস সম্ভব হয়েছে।

২০১৩ সালে চাকরির সংখ্যা ১ কোটি ৬১ লক্ষ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।”

এই বৃদ্ধি অর্থনীতির অব্যাহত পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি চাকরির বাজারকে উদ্দীপিত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের সাফল্যের প্রতিফলন ঘটায়।

স্টিভেনের মতে, শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হারও শক্তিশালী কর্মক্ষমতা দেখিয়েছে, যেখানে ৭০.৬ শতাংশ মালয়েশিয়ান চাকরির বাজারে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন যে, একই সময়ে, মহিলাদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হারও ৫৬ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে দক্ষতা-সম্পর্কিত আন্ডার-বেকারত্বের হার ২০২৩ সালে ৩৭.৪ শতাংশ থেকে কমে ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শ্রমিক দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে ১০ হাজার এরও বেশি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।