ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ার কোটা ভারুতে ১১৪ বাংলাদেশি আটক বিভিন্ন দেশের ৪৮,৩১৯ বন্দীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া মহান মে দিবসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক কার্ড চালুর ঘোষণা কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা ‘ইশরাক হোসেন ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে এনসিপি আদালত অবমাননা করেছে’ মালয়েশিয়ায় জাল পারমিট বিক্রির মূল হোতা বাংলাদেশি আটক

কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
  • আপডেটের সময় : ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 439

দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করার পর অবশেষে দেশে ফিরছেন মালয়েশিয়ার এক বাগানের একদল বাংলাদেশি কর্মী। বিদায় বেলায় তাদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সম্মান জানালেন তাদের মালিক। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মীদের বিদায় জানাতে স্বয়ং সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন নিয়োগকর্তা এন. মুস্তাফা কামাল।

 

প্রায় দেড় যুগ আগে মুস্তাফা কামালের বাগানে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া আসেন এই বাংলাদেশি কর্মীরা। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তারা অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে বাগানের পরিচর্যা করেছেন। তাদের কর্মদক্ষতা ও সততায় মুগ্ধ ছিলেন মালিক। অবশেষে তাদের দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে আসে।

 

২৯ এপ্রিল কর্মীরা যখন দেশের পথে রওনা হচ্ছিলেন, তখন তাদের বিদায় জানাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ছুটে যান মুস্তাফা কামাল। বিমানবন্দরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

 

মালিক শেষবারের মতো একে একে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের বুকে জড়িয়ে ধরেন। এই বিরল দৃশ্য বিমানবন্দরের অন্যান্য যাত্রীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কর্মীদের বিদায় জানানোর সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও মুস্তাফা কামাল নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

 

ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে একদল বাংলাদেশি কর্মী আমার বাগানটিকে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে পরিচর্যা করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া বাগানটি আজকের এই অবস্থানে আসতে পারত না। আজ তাদের বিদায় জানানোর পালা, তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের এই দীর্ঘদিনের সকল সেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা তাদের অবদান কখনোই ভুলব না।’

 

ভিডিওটি পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা মালিকের এই আন্তরিকতার যেমন প্রশংসা করছেন, তেমনই দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করা বাংলাদেশি কর্মীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করছেন। এই ঘটনা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

শেয়ার করুন

কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা

আপডেটের সময় : ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করার পর অবশেষে দেশে ফিরছেন মালয়েশিয়ার এক বাগানের একদল বাংলাদেশি কর্মী। বিদায় বেলায় তাদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সম্মান জানালেন তাদের মালিক। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মীদের বিদায় জানাতে স্বয়ং সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন নিয়োগকর্তা এন. মুস্তাফা কামাল।

 

প্রায় দেড় যুগ আগে মুস্তাফা কামালের বাগানে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া আসেন এই বাংলাদেশি কর্মীরা। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তারা অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে বাগানের পরিচর্যা করেছেন। তাদের কর্মদক্ষতা ও সততায় মুগ্ধ ছিলেন মালিক। অবশেষে তাদের দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে আসে।

 

২৯ এপ্রিল কর্মীরা যখন দেশের পথে রওনা হচ্ছিলেন, তখন তাদের বিদায় জানাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ছুটে যান মুস্তাফা কামাল। বিমানবন্দরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

 

মালিক শেষবারের মতো একে একে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের বুকে জড়িয়ে ধরেন। এই বিরল দৃশ্য বিমানবন্দরের অন্যান্য যাত্রীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কর্মীদের বিদায় জানানোর সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও মুস্তাফা কামাল নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

 

ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে একদল বাংলাদেশি কর্মী আমার বাগানটিকে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে পরিচর্যা করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া বাগানটি আজকের এই অবস্থানে আসতে পারত না। আজ তাদের বিদায় জানানোর পালা, তারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের এই দীর্ঘদিনের সকল সেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা তাদের অবদান কখনোই ভুলব না।’

 

ভিডিওটি পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা মালিকের এই আন্তরিকতার যেমন প্রশংসা করছেন, তেমনই দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করা বাংলাদেশি কর্মীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করছেন। এই ঘটনা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।