ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯ অবৈধ অভিবাসী আটক আজীবন সম্মাননা পেলেন মালয়েশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এশিয়া জুড়ে নতুন প্রতিভাদের প্ল্যাটফর্ম ‘এশিয়ান কে-পপ স্টারস’ প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে : প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের পাঁয়তারা বিডিএক্সপ্যাটস এর উদ্যোগে কুয়ালালামপুরে বসছে “বৈশাখী মেলা” মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে হাইকমিশনারের মতবিনিময় মালয়েশিয়ায় দেড় শতাধিক বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ায় এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর রাস্তায় ফেলে রাখলো রুমমেটরা মালয়েশিয়ায় ৩ মাসে বাংলাদেশিসহ ১৯,৩৬১ অবৈধ আটক

মালয়েশিয়ায় ৪ বাংলাদেশি এজেন্ট গ্রেফতার

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
  • আপডেটের সময় : ০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / 118

ইমিগ্রেশন পরিষেবা প্রদানকারী চার অবৈধ বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, যারা সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসীদের অভিবাসন পরিষেবা প্রদানকারী অবৈধ এজেন্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জেআইএম-এর মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের চারটি স্থানে এবং সেলাঙ্গরের বন্দর বুকিত রাজার তিনটি স্থানে একটি বিশেষ অভিযানের সময় ২২ থেকে ৩৮ বছর বয়সী ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের কার্যপ্রণালি ছিল মালয়েশিয়ায় বিদেশি নাগরিকদের অভিবাসন পরিষেবা প্রদান করা, যেমন বিশেষ পাস।

 

মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ এজেন্টরা বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালের ক্লায়েন্টদের লক্ষ্যবস্তু করত যারা মেয়াদের বেশি সময় ধরে অবস্থান করেছিল অথবা যাদের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ পাসটি এই অবৈধ এজেন্টদের দ্বারা পরিচালিত হবে যাতে প্রদত্ত পরিষেবাগুলি ব্যবহার করে এমন বিদেশিরা এই দেশে বসবাস এবং থাকার সুযোগ পায়।

 

এই অবৈধ এজেন্টরাই-পাস অবৈধভাবে পরিবর্তন করার জন্য পরিষেবাও প্রদান করে বলেও শুক্রবার বিবৃতিতে জানান ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

 

জাকারিয়া বলেন যে, প্রতিটি পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ২,০০০ থেকে ২,৫০০ রিঙ্গিত ফি নেওয়া হত। গ্রেফতারকৃতরা এক বছর ধরে এ কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল বলে মনে করছেন মহাপরিচালক।

 

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে গ্রেফতার হওয়া দুই সন্দেহভাজনের নির্মাণ খাতে পিএলকেএস ছিল এবং অন্য দুজন ওভারটাইম করছিল।

 

ইতিমধ্যে, অভিযানকারী দল গ্রেফতারদের ব্যবহৃত স্থান থেকে বিভিন্ন দেশের ১৩৪ কপি পাসপোর্ট জব্দ করেছে। এতে বাংলাদেশ, নেপাল মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের পাসপোর্ট রয়েছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ বাংলাদেশের ১১৭ টি পাসপোর্ট রয়েছে।

 

এ ছাড়া নগদ ৬৯,৩৮০ রিঙ্গিত, চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় ৪ বাংলাদেশি এজেন্ট গ্রেফতার

আপডেটের সময় : ০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

ইমিগ্রেশন পরিষেবা প্রদানকারী চার অবৈধ বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, যারা সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসীদের অভিবাসন পরিষেবা প্রদানকারী অবৈধ এজেন্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জেআইএম-এর মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের চারটি স্থানে এবং সেলাঙ্গরের বন্দর বুকিত রাজার তিনটি স্থানে একটি বিশেষ অভিযানের সময় ২২ থেকে ৩৮ বছর বয়সী ৪ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের কার্যপ্রণালি ছিল মালয়েশিয়ায় বিদেশি নাগরিকদের অভিবাসন পরিষেবা প্রদান করা, যেমন বিশেষ পাস।

 

মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ এজেন্টরা বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালের ক্লায়েন্টদের লক্ষ্যবস্তু করত যারা মেয়াদের বেশি সময় ধরে অবস্থান করেছিল অথবা যাদের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ পাসটি এই অবৈধ এজেন্টদের দ্বারা পরিচালিত হবে যাতে প্রদত্ত পরিষেবাগুলি ব্যবহার করে এমন বিদেশিরা এই দেশে বসবাস এবং থাকার সুযোগ পায়।

 

এই অবৈধ এজেন্টরাই-পাস অবৈধভাবে পরিবর্তন করার জন্য পরিষেবাও প্রদান করে বলেও শুক্রবার বিবৃতিতে জানান ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

 

জাকারিয়া বলেন যে, প্রতিটি পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ২,০০০ থেকে ২,৫০০ রিঙ্গিত ফি নেওয়া হত। গ্রেফতারকৃতরা এক বছর ধরে এ কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল বলে মনে করছেন মহাপরিচালক।

 

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে গ্রেফতার হওয়া দুই সন্দেহভাজনের নির্মাণ খাতে পিএলকেএস ছিল এবং অন্য দুজন ওভারটাইম করছিল।

 

ইতিমধ্যে, অভিযানকারী দল গ্রেফতারদের ব্যবহৃত স্থান থেকে বিভিন্ন দেশের ১৩৪ কপি পাসপোর্ট জব্দ করেছে। এতে বাংলাদেশ, নেপাল মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের পাসপোর্ট রয়েছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ বাংলাদেশের ১১৭ টি পাসপোর্ট রয়েছে।

 

এ ছাড়া নগদ ৬৯,৩৮০ রিঙ্গিত, চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।