বেতন না পেয়ে ভাংচুর: বাংলাদেশি শ্রমিকের ২ বছরের কারাদণ্ড

- আপডেটের সময় : ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 68
এক বাংলাদেশি নাগরিককে ২৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন মালয়েশিয়ার ইয়ং পেং ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত রফিক তিনটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছেন, যার মধ্যে একজনকে মারধর করা ও ২০টি চারা গাছ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেট আরুন নভাল দাসের আদালতে দোভাষীর মাধ্যমে রফিক তার দোষ স্বীকার করেন।
আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর মধ্যে মূলত বেতন পরিশোধ সংক্রান্ত একটি বিরোধ ছিল। বেতন না পেয়ে এই বিরোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে অভিযুক্ত রফিক ভুক্তভোগীকে পেছন থেকে আঘাত করেন এবং ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মস্থলের চারা গাছগুলোর ক্ষতি করেন।
প্রথম অভিযোগ অনুযায়ী, ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ইয়ং পেং-লাবিস সড়কে ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার দায়ে তাকে মালয়েশিয়ার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই একই সময়ে ও স্থানে তিনি ভুক্তভোগীকে ভয় দেখিয়ে হুমকি দেন, যা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হয়।
তৃতীয় অভিযোগ অনুসারে, ৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত তার কর্মস্থলে ২০টি চারা গাছ নষ্ট করেন, যা কোম্পানির মালিকানাধীন ছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির ৬,০০০ রিঙ্গিত ক্ষতি হয়। এ অপরাধটি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারার আওতায় পড়ে, যার শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড।
তদন্ত শেষে, উপ-অভিযোজক ফারাহ ওয়াহিদাহ মোহাম্মদ শরীফ মামলাটি পরিচালনা করেন, তবে অভিযুক্ত কোনো আইনজীবী পাননি।
বিচারক অভিযুক্তকে ৪২৭ ধারায় এক বছর, ৩২৩ ধারায় আট মাস এবং ৫০৬ ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে, আদালত নির্দেশ দেন যে সমস্ত সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে এবং ৮ ডিসেম্বর থেকে তার সাজা গণনা শুরু হবে।