ঢাকা , সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকালে রাস্তা অবরোধ, দুপুরে সচিবের কথায় আশ্বস্ত মালয়েশিয়াগামী সেই কর্মীরা

স্টাফ রিপো‍র্টার, প্রবাস বা‍র্তা
  • আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 80

 

 

দ্রুত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর কারওয়ানবাজার মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে আটকে পড়া সেই ১৮ হাজার কর্মীর বেশ কয়েক জন। সকাল ৯ টা থেকে ২ ঘন্টা অবস্থানের পর পুলিশ তাদেরকে কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড় থেকে সরিয়ে দেয়।

 

গেল বছরের ৩১ মে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে মালয়েশিয়া পাঠানো যায়নি এই কর্মীদের। সব পক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও টিকিট সংকটসহ নানা জটিলতায় প্রায় ১৮ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় আশ্বাস দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত সমাধান পাননি বহু কর্মী। তবে এই সময়ের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বেশিরভাগ কর্মীদের টাকা ফেরত দিয়েছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি জমা দিয়েছে।

 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজার মোড়ে সকাল ৯ টা থেকে দুই ঘন্টার অবস্থান পর পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে কর্মসূচিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের কয়েক দফায় বাকবিতণ্ডা হয়। কর্মীদের কর্মীদের সার্ক ফোয়ারা মোড় মূল সড়ক থেকে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে সরিয়ে দেয় পুলিশ। সেখানে রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা এই কর্মীরা।

 

তারা বলেন, গেল বছরের ৩১ মে শেষ সময়ে রিক্রুটিং এজেন্সি ও সাব এজেন্টদের অনিয়মে মালয়েশিয়ার যাওয়া হয়নি। এরপর মন্ত্রণালয় থেকেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না। এখন বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে তাদের। গেল বছরের ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ঢাকা সফরে তিনি এই ১৮ হাজার কর্মীকে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্রুত সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন চান কর্মীরা।

 

কারওয়ানবাজার থেকে বিক্ষোভকামীরা দুপুরের দিকে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে যান। মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করার একপর্যায়ে সচিব রুহুল আমিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সচিব জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতো আটকে থাকাদের মধ্যে ৮১ শতাংশ কর্মীর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে এমন লিখিত কাগজপত্র জমা দিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। বাকি কর্মীদের টাকাও ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কর্মীরা কত টাকা ফেরত নিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সেটা কর্মীদের বিষয়। তবে যেই এজেন্সি টাকা ফেরত দিবে না শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকল কর্মী টাকা ফেরত পাবেন এটা মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার।

 

সচিব আরো জানান, “একইসাথ মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচলা করা হচ্ছে। তাদের অংশে কাজ চলছে। মালয়েশিয়া যখন বলবে, এখানে সব প্রস্তুতি আছে। সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে পদ্ধতি ঠিক হবে বলে আশা করি”।

 

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া সরকারের সাথে কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর পর ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয় দেশটিতে। ৩১ মে ২০২৪ পর্যন্ত জনশক্তি ক‍‍র্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যাুরো- বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে  ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শেষ দিন প‍‍র্যন্ত মালয়েশিয়ায় গিয়েছেন  ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন ক‍‍র্মী৤  বিএমইটি’র তথ্য অনুযায়ী ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স হওয়ার পরও ১৬ হাজার ৯৭০ জন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।

 

শেয়ার করুন

সকালে রাস্তা অবরোধ, দুপুরে সচিবের কথায় আশ্বস্ত মালয়েশিয়াগামী সেই কর্মীরা

আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

 

দ্রুত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর কারওয়ানবাজার মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে আটকে পড়া সেই ১৮ হাজার কর্মীর বেশ কয়েক জন। সকাল ৯ টা থেকে ২ ঘন্টা অবস্থানের পর পুলিশ তাদেরকে কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড় থেকে সরিয়ে দেয়।

 

গেল বছরের ৩১ মে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে মালয়েশিয়া পাঠানো যায়নি এই কর্মীদের। সব পক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও টিকিট সংকটসহ নানা জটিলতায় প্রায় ১৮ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় আশ্বাস দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত সমাধান পাননি বহু কর্মী। তবে এই সময়ের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বেশিরভাগ কর্মীদের টাকা ফেরত দিয়েছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি জমা দিয়েছে।

 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজার মোড়ে সকাল ৯ টা থেকে দুই ঘন্টার অবস্থান পর পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে কর্মসূচিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের কয়েক দফায় বাকবিতণ্ডা হয়। কর্মীদের কর্মীদের সার্ক ফোয়ারা মোড় মূল সড়ক থেকে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে সরিয়ে দেয় পুলিশ। সেখানে রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা এই কর্মীরা।

 

তারা বলেন, গেল বছরের ৩১ মে শেষ সময়ে রিক্রুটিং এজেন্সি ও সাব এজেন্টদের অনিয়মে মালয়েশিয়ার যাওয়া হয়নি। এরপর মন্ত্রণালয় থেকেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না। এখন বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে তাদের। গেল বছরের ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ঢাকা সফরে তিনি এই ১৮ হাজার কর্মীকে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্রুত সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন চান কর্মীরা।

 

কারওয়ানবাজার থেকে বিক্ষোভকামীরা দুপুরের দিকে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে যান। মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করার একপর্যায়ে সচিব রুহুল আমিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সচিব জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতো আটকে থাকাদের মধ্যে ৮১ শতাংশ কর্মীর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে এমন লিখিত কাগজপত্র জমা দিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। বাকি কর্মীদের টাকাও ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কর্মীরা কত টাকা ফেরত নিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সেটা কর্মীদের বিষয়। তবে যেই এজেন্সি টাকা ফেরত দিবে না শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকল কর্মী টাকা ফেরত পাবেন এটা মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার।

 

সচিব আরো জানান, “একইসাথ মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচলা করা হচ্ছে। তাদের অংশে কাজ চলছে। মালয়েশিয়া যখন বলবে, এখানে সব প্রস্তুতি আছে। সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে পদ্ধতি ঠিক হবে বলে আশা করি”।

 

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া সরকারের সাথে কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর পর ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয় দেশটিতে। ৩১ মে ২০২৪ পর্যন্ত জনশক্তি ক‍‍র্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যাুরো- বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে  ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শেষ দিন প‍‍র্যন্ত মালয়েশিয়ায় গিয়েছেন  ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন ক‍‍র্মী৤  বিএমইটি’র তথ্য অনুযায়ী ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স হওয়ার পরও ১৬ হাজার ৯৭০ জন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।