ঢাকা , সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়াগামী সেই ১৮ হাজার ক‍র্মী দ্রুত নিতে ড. ইউনূসের আহবান

স্টাফ রিপো‍র্টার, প্রবাস বা‍র্তা
  • আপডেটের সময় : ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 193

 

ভিসাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার পরও নি‍‍র্ধারিত সময়ের  (৩১ মে ২০২৪) মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি ক‍‍র্মী নেয়ার বিষয়ে আরো দ্রুত শেষ করতে আহবান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস৤ ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনারকে ড. ইউনূস একইসাথে  মালয়েশিয়ার প্রতি দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানান।

 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওথমান৤ এসময় প্রধান উপদেষ্টার আহবানের জবাবে হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সমন্বিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি কুয়ালালামপুরে ৩১ ডিসেম্বর বৈঠক করেছে৤ মঙ্গলবার একই ইস্যুতে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান হাইকমিশনার৤

 

অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন, মালয়েশিয়া এই প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত করবে৤  অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন যে মালয়েশিয়া এই প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত করবে যাতে পরবর্তী ব্যাচ বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশে ফেরার পরিকল্পনা করতে পারে।

 

প্রধান উপদেষ্টা ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এশিয়ান-এর একটি আংশিক সংলাপ অংশীদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিডের জন্য দেশের সৃমর্থন কামনা করেছেন এবং এর পর পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য।

 

তিনি হাইকমিশনারকে আরও জানান যে, ইউএনজিএ রেজুলেশন ৭৯/১৮২ অনুযায়ী ২০২৫ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আসিয়ানের সমর্থন চায়।

 

প্রধান উপদেষ্টা 2024 সালের ডিসেম্বরে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন মালয়েশিয়ার হাই কমিশনারকে বাংলাদেশে আরো মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ আনা এবং বাংলাদেশের যুব বাহিনীর সুবিধা নিতে মালয়েশিয়ার কারখানা স্থানান্তর করার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্তরে নতুনভাবে ঘনিষ্ঠতার স্তরে পৌঁছাবে।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কুয়ালালামপুরে ৪র্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ বাবস্থাপত্রে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক ভারিবের প্রত্যাশা করছে।

 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের এম যৌথ কমিশন’ বৈঠক করার জন্য প্রস্তুত। এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ আরো উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়াগামী সেই ১৮ হাজার ক‍র্মী দ্রুত নিতে ড. ইউনূসের আহবান

আপডেটের সময় : ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

 

ভিসাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার পরও নি‍‍র্ধারিত সময়ের  (৩১ মে ২০২৪) মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি ক‍‍র্মী নেয়ার বিষয়ে আরো দ্রুত শেষ করতে আহবান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস৤ ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনারকে ড. ইউনূস একইসাথে  মালয়েশিয়ার প্রতি দেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানান।

 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওথমান৤ এসময় প্রধান উপদেষ্টার আহবানের জবাবে হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সমন্বিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি কুয়ালালামপুরে ৩১ ডিসেম্বর বৈঠক করেছে৤ মঙ্গলবার একই ইস্যুতে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান হাইকমিশনার৤

 

অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন, মালয়েশিয়া এই প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত করবে৤  অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন যে মালয়েশিয়া এই প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত করবে যাতে পরবর্তী ব্যাচ বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশে ফেরার পরিকল্পনা করতে পারে।

 

প্রধান উপদেষ্টা ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এশিয়ান-এর একটি আংশিক সংলাপ অংশীদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিডের জন্য দেশের সৃমর্থন কামনা করেছেন এবং এর পর পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য।

 

তিনি হাইকমিশনারকে আরও জানান যে, ইউএনজিএ রেজুলেশন ৭৯/১৮২ অনুযায়ী ২০২৫ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আসিয়ানের সমর্থন চায়।

 

প্রধান উপদেষ্টা 2024 সালের ডিসেম্বরে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন মালয়েশিয়ার হাই কমিশনারকে বাংলাদেশে আরো মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ আনা এবং বাংলাদেশের যুব বাহিনীর সুবিধা নিতে মালয়েশিয়ার কারখানা স্থানান্তর করার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্তরে নতুনভাবে ঘনিষ্ঠতার স্তরে পৌঁছাবে।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কুয়ালালামপুরে ৪র্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ বাবস্থাপত্রে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক ভারিবের প্রত্যাশা করছে।

 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের এম যৌথ কমিশন’ বৈঠক করার জন্য প্রস্তুত। এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ আরো উপস্থিত ছিলেন।