ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট না মানলে ক‍র্মী পাঠানো অনিশ্চিত! বৈদেশিক ক‍র্মসংস্থানে রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা ও বাস্তবতা: মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ উৎসব নি‍র্বাচনে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ক‍র্মী নেবে জাপান ‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক

নাজিব রাজাকের মুক্তি দাবিতে সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
  • আপডেটের সময় : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 138

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের মুক্তিকে ঘিরে রাজনৈতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কারাগারে বন্দী নাজিবকে সমর্থন জানিয়ে একটি সমাবেশের আহ্বান করা হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ” ইস্তানা নেগারা (প্রাসাদ) থেকে দেওয়া নির্দেশনা পড়তে হবে, বুঝতে হবে এবং মেনে নিতে হবে।” তিনি সকল পক্ষকে সংবিধান এবং আইন অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান।

 

শুক্রবার দি সান ডেইলির খবরে বলা হয়, জাতীয় প্রাসাদও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ক্ষমা, শাস্তি স্থগিত বা লাঘব করার একমাত্র অধিকার বর্তমান রাজা সুলতান ইব্রাহিমের। ক্ষমা বোর্ডের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

২০১৮ সালের ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালে নাজিব রাজাক ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১০ মিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানার শাস্তি পান। পরে তার সাজা অর্ধেকে কমিয়ে জরিমানা ৫০ মিলিয়ন রিঙ্গিতে নামিয়ে আনা হয়।

 

এ দিকে নাজিব দাবি করেছেন, সাবেক রাজা সুলতান আবদুল্লাহ তাকে বাকী সাজা গৃহবন্দি হিসেবে কাটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। তবে কুয়ালালামপুর উচ্চ আদালত এই দাবিকে “গুজব” আখ্যা দিয়ে খারিজ করেছে। এখন নাজিব এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

 

নাজিবের সমর্থনে উম্নো এবং প্রধান বিরোধী দল পাস একত্রিত হয়ে সোমবার আদালতের বাইরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিরোধী নেতা লিম গুয়ান ইং সমাবেশের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”

 

পাস নেতারা এই সমাবেশকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই আনোয়ারের সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে।

 

মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে এই সমাবেশ এবং ক্ষমা ইস্যু আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে। এটি সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

শেয়ার করুন

নাজিব রাজাকের মুক্তি দাবিতে সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা

আপডেটের সময় : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের মুক্তিকে ঘিরে রাজনৈতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কারাগারে বন্দী নাজিবকে সমর্থন জানিয়ে একটি সমাবেশের আহ্বান করা হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ” ইস্তানা নেগারা (প্রাসাদ) থেকে দেওয়া নির্দেশনা পড়তে হবে, বুঝতে হবে এবং মেনে নিতে হবে।” তিনি সকল পক্ষকে সংবিধান এবং আইন অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান।

 

শুক্রবার দি সান ডেইলির খবরে বলা হয়, জাতীয় প্রাসাদও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ক্ষমা, শাস্তি স্থগিত বা লাঘব করার একমাত্র অধিকার বর্তমান রাজা সুলতান ইব্রাহিমের। ক্ষমা বোর্ডের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

২০১৮ সালের ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালে নাজিব রাজাক ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১০ মিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানার শাস্তি পান। পরে তার সাজা অর্ধেকে কমিয়ে জরিমানা ৫০ মিলিয়ন রিঙ্গিতে নামিয়ে আনা হয়।

 

এ দিকে নাজিব দাবি করেছেন, সাবেক রাজা সুলতান আবদুল্লাহ তাকে বাকী সাজা গৃহবন্দি হিসেবে কাটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। তবে কুয়ালালামপুর উচ্চ আদালত এই দাবিকে “গুজব” আখ্যা দিয়ে খারিজ করেছে। এখন নাজিব এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

 

নাজিবের সমর্থনে উম্নো এবং প্রধান বিরোধী দল পাস একত্রিত হয়ে সোমবার আদালতের বাইরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিরোধী নেতা লিম গুয়ান ইং সমাবেশের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”

 

পাস নেতারা এই সমাবেশকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই আনোয়ারের সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে।

 

মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে এই সমাবেশ এবং ক্ষমা ইস্যু আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে। এটি সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।