মালয়েশিয়ায় ১৬০ বাংলাদেশি কর্মীর কোম্পানি পরিবর্তন
- আপডেটের সময় : ১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 90
মালয়েশিয়ায় ১৬০ বাংলাদেশি কর্মীর কোম্পানি পরিবর্তন করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার কাউয়াগুছি ম্যানুফেকচারিং কোম্পানিতে কর্মকালীন বাংলাদেশি কর্মীদের বকেয়া বেতন ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর ডিপার্টমেন্ট অব লেবার(JTK) কোর্টের নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত মতে ৩০ ডিসেম্বর ১৬০ জন কর্মীকে ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন নতুন কোম্পানির অধীনে হাই কমিশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের মাধ্যমে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনপূর্বক হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কর্মীগণকেও আগামী দুদিনের মধ্যে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে মর্মে মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে জানা গিয়েছে। বর্ণিত ১৬০ জন কর্মীর মধ্যে
KYB-UMW MALAYSIA SDN BHD (103151-W) – কোম্পানিতে ১০ জন,
SYARIKAT PERNIAGAAN KEMAJUAN INT.SDN BHD (177698-X) কোম্পানিতে ৪৫ জন,
WIN WIN FOOD INDUSTRIES SDN BHD (662492-U) কোম্পানিতে ২০ জন,
ECO-SHOP MARKETING SB (734055-M) – কোম্পানিতে ৪১ জন,
CEVA LOGISTICS SDN BHD (421502-U) কোম্পানিতে ১৭ জন, DESARU DAMAI BEACH RESORT SDB BHD (780983-A) – কোম্পানিতে ১০ জন এবং Boh tea, cameron high land কোম্পানিতে ১৭জন কর্মীকে নিয়োগকর্তা স্থানান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাই কমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টি তদারকি ও ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
উল্লেখ্য,কাউয়াগুচি ম্যানুফেকচারিং এসডিএন বিএসডি নামে একটি কোম্পানিতে ২৫১ জন বাংলাদেশি কাজ করতেন।
কিন্তু কোম্পানি বকেয়া বেতন না দেওয়ায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে কর্মীরা কর্মবিরতি ও কোম্পানির অফিস ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে হাইকমিশনারের নির্দেশে রাত ১১টার দিকে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কোম্পানির অফিসে যায়। পুলিশ বিভাগের সদস্য, কোম্পানির কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পোর্ট ক্লাং লেবার কোর্টে দায়েরকৃত অভিযোগের শুনানি ভুক্তভোগী বাংলাদেশি কর্মীদের কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
লেবার কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরোনো কর্মীদের মধ্যে যারা দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় জানুয়ারি মাসে দেশে ফেরত পাঠানো এবং অন্যান্য কর্মীদের মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করে তাদেরকে নতুন কোম্পানিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।