মালয়েশিয়ায় গিভিং ইকোনমি অ্যাওয়ার্ডস পেলেন পাভেল সারওয়ার
- আপডেটের সময় : ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 59
মালয়েশিয়ায় গিভিং ইকোনমি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ পেলেন বাংলাদেশি পাভেল সারওয়ার। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী টেক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, সামাজিক উদ্ভাবন এবং যুব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ইয়ুথ হাব। এই সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পাভেল সারওয়ার ভারতের ক্রাউডেরা ফাউন্ডেশন ,অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ মালয়েশিয়া (APPGM-SDG) এবং MySDG Academy এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৭ ম গিভিং ইকোনমি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ -এর Inspiring Changemaker বিভাগে “গিভিং ইকোনমি অ্যাওয়ার্ডস” অর্জন করেন।
৩ ডিসেম্বর রাজধানী কুয়ালালামপুরের কনকর্ড হোটেলে আয়োজন করা হয় এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
এই সম্মানজনক স্বীকৃতির জন্য পাভেল সারওয়ার Crowdera Foundation, সম্মানিত বিচারকমণ্ডলী, APPGM-SDG টিম এবং মনোনয়নকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই পুরস্কার আমার কাজের প্রতি আরও অনুপ্রেরণা যোগায়, যা আমাকে অর্থবহ পরিবর্তন এবং ইতিবাচক প্রভাব তৈরির জন্য আরও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।”
পাভেল সারোয়ার তার মায়ের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তার পক্ষে তার প্রতিনিধি পুরস্কার গ্রহণ করেন।
Crowdera Foundation এর লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে ১ মিলিয়ন ক্ষুদ্র দাতব্য সংস্থাকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল রূপান্তরের আওতায় আনা, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সূর্যাস্তের পূর্বে অর্জন করার পরিকল্পনা।
All-Party Parliamentary Group Malaysia (APPGM) ১৭ অক্টোবর, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি মালয়েশিয়ার ১৫তম সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত।
APPGM একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যেখানে নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের (সিনেট) সংসদ সদস্যরা জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং নাগরিক সমাজ, একাডেমিক বিশেষজ্ঞ এবং বেসরকারি খাতের মতো বাহ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারেন।
ইয়ুথ হাব মূলত মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ এবং নেপালভিত্তিক হলেও নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আরও কয়েকটি দেশে তাদের প্রকল্প পরিচালনা করছে।
ইয়ুথ হাবের সভাপতি পাভেল সারওয়ার জানান, “আমরা মূলত ৬ থেকে ১৬ এবং ১৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সের দুইটি শ্রেণির যুবকদের নিয়ে কাজ করি। আমাদের অন্যতম উদ্যোগ হলো ‘স্কুল কোডার্স,’ যার মাধ্যমে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচিত করা, তাদের কোডিংয়ের মৌলিক বিষয় শেখানো এবং স্কুল জীবন থেকেই তাদের আইসিটি ও স্টেম শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা।”
সবাইকে একসঙ্গে একটি ভালো পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন পাভেল সারোয়ার