ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯ দিনে দেড়শ কোটি ডলার ছাড়ালো প্রবাসী আয়

প্রবাস বার্তা ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 68

চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৮৭ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার বেশি। জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিলো ১৪৭ কোটি ডলার। চলতি মাসে আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ছে।। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১০৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো শাখায় এসেছে ৪১ লাখ ডলার।

 

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে জুনে, যা পরিমাণে ২৫৪ কোটি ডলার। এটি একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ডলার। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ডলার এসেছে সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে।

 

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন বেসরকারি গবেষণা-প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব নিয়েই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংক খাতের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।

 

পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার-সংকট কাটাতে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে। তাতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় ডলারের মধ্যবর্তী দাম দাঁড়ায় ১১৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলো এখন ডলারের দাম কিছুটা বেশি দিতে পারছে।

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

শেয়ার করুন

১৯ দিনে দেড়শ কোটি ডলার ছাড়ালো প্রবাসী আয়

আপডেটের সময় : ০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৮৭ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার বেশি। জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিলো ১৪৭ কোটি ডলার। চলতি মাসে আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ছে।। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১০৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো শাখায় এসেছে ৪১ লাখ ডলার।

 

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে জুনে, যা পরিমাণে ২৫৪ কোটি ডলার। এটি একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ডলার। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ডলার এসেছে সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে।

 

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন বেসরকারি গবেষণা-প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব নিয়েই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংক খাতের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।

 

পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার-সংকট কাটাতে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে। তাতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় ডলারের মধ্যবর্তী দাম দাঁড়ায় ১১৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলো এখন ডলারের দাম কিছুটা বেশি দিতে পারছে।

 

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।