ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ক‍র্মী নেবে জাপান ‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ার কোটা ভারুতে ১১৪ বাংলাদেশি আটক বিভিন্ন দেশের ৪৮,৩১৯ বন্দীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া মহান মে দিবসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক কার্ড চালুর ঘোষণা কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা

বিদেশি কর্মীদর পরিচালনায় নতুন ব্যবস্থা চালু করলো মালয়েশিয়া

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / 219

 

মালয়েশিয়ার কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (সিআইডিবি) একটি নতুন সিস্টেম চালু করেছে, যা দেশটির নির্মাণ খাতে বিদেশি কর্মীদের পরিচালনা করতে তাদের সহায়তা করবে।

 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রী আলেকজান্ডার নানটা লিঙ্গি বলেছেন, এই সিস্টেমটি এখনও বাধ্যতামূলক নয়, তবে তার মন্ত্রণালয় কোম্পানি মালিকরা তাদের কর্মীদের এই সিস্টেমে নিবন্ধন করতে উৎসাহিত করছে।

 

সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯১ জন নিবন্ধিত বিদেশি নির্মাণ কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ জন কুয়ালালামপুরে এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬ জন সেলাঙ্গরে রয়েছে বলে জানিয়েছে কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (সিআইডিবি)।

 

দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরও বলেছেন, যদিও এই কর্মীদের অনেকেই আমাদের মতোই; তারা বিদেশি হিসেবে আমাদের দেশে কাজ করছে। তা সত্ত্বেও, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কল্যাণকে হালকাভাবে নেওয়া হয় না, এ কারণেই মন্ত্রণালয় এই সিস্টেমটি চালু করেছে।

 

এই সিস্টেমের আওতায় বিদেশি কর্মীরা যখন তাদের নিজ দেশে সিআইডিবির যাচাইকৃত নির্মাণ কাজের দক্ষতা বিষয়ক সার্টিফিকেট পাবেন, তখন তাদের একটি বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।

 

এছাড়া শিল্প উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে শুধুমাত্র বৈধ যোগ্যতা সম্পন্ন অভিবাসী কর্মীদের কনস্ট্রাকশন খাতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

 

দেশটির সরকারি মুখপাত্র বারনামার প্রতিবেদন অনুযায়ী সিআইডিবি জানিয়েছে, সিআইডিবির নতুন এ সিস্টেমটি বিদেশি কর্মীদের কল্যাণ তদারকি করতেও সহায়তা করবে, যার মধ্যে তাদের আবাসনের ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

সিস্টেমটি কোম্পানি মালিকদের বিভিন্ন কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আইন মেনে চলার দায়-দায়িত্ব তদারকি করতেও সহায়ক হবে, যেন কর্মীদের সুস্থতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

শেয়ার করুন

বিদেশি কর্মীদর পরিচালনায় নতুন ব্যবস্থা চালু করলো মালয়েশিয়া

আপডেটের সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

 

মালয়েশিয়ার কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (সিআইডিবি) একটি নতুন সিস্টেম চালু করেছে, যা দেশটির নির্মাণ খাতে বিদেশি কর্মীদের পরিচালনা করতে তাদের সহায়তা করবে।

 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রী আলেকজান্ডার নানটা লিঙ্গি বলেছেন, এই সিস্টেমটি এখনও বাধ্যতামূলক নয়, তবে তার মন্ত্রণালয় কোম্পানি মালিকরা তাদের কর্মীদের এই সিস্টেমে নিবন্ধন করতে উৎসাহিত করছে।

 

সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯১ জন নিবন্ধিত বিদেশি নির্মাণ কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ জন কুয়ালালামপুরে এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬ জন সেলাঙ্গরে রয়েছে বলে জানিয়েছে কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (সিআইডিবি)।

 

দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরও বলেছেন, যদিও এই কর্মীদের অনেকেই আমাদের মতোই; তারা বিদেশি হিসেবে আমাদের দেশে কাজ করছে। তা সত্ত্বেও, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কল্যাণকে হালকাভাবে নেওয়া হয় না, এ কারণেই মন্ত্রণালয় এই সিস্টেমটি চালু করেছে।

 

এই সিস্টেমের আওতায় বিদেশি কর্মীরা যখন তাদের নিজ দেশে সিআইডিবির যাচাইকৃত নির্মাণ কাজের দক্ষতা বিষয়ক সার্টিফিকেট পাবেন, তখন তাদের একটি বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।

 

এছাড়া শিল্প উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে শুধুমাত্র বৈধ যোগ্যতা সম্পন্ন অভিবাসী কর্মীদের কনস্ট্রাকশন খাতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

 

দেশটির সরকারি মুখপাত্র বারনামার প্রতিবেদন অনুযায়ী সিআইডিবি জানিয়েছে, সিআইডিবির নতুন এ সিস্টেমটি বিদেশি কর্মীদের কল্যাণ তদারকি করতেও সহায়তা করবে, যার মধ্যে তাদের আবাসনের ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

সিস্টেমটি কোম্পানি মালিকদের বিভিন্ন কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আইন মেনে চলার দায়-দায়িত্ব তদারকি করতেও সহায়ক হবে, যেন কর্মীদের সুস্থতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।