ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট না মানলে ক‍র্মী পাঠানো অনিশ্চিত! বৈদেশিক ক‍র্মসংস্থানে রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা ও বাস্তবতা: মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ উৎসব নি‍র্বাচনে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ক‍র্মী নেবে জাপান ‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে ৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু; হাইকমিশনের শোক

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 203

বাম থেকে আবু তাহের, মাঝে জব্বার আলী,এবং ডানে সালাম, ছবি: সংগ্রহীত।

 

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের একটি শিল্প এলাকায় পেনটাচেম এসডিএন বিএসডি কোম্পানিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গেল (৫ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার জোহরবারু প্রদেশের জালাল স্টোরি রোডে নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাথায় রড পড়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করেন আর একজন বাংলাদেশের নাগরিক।

 

শনিবার (১২ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এইসব তথ্য জানান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশি কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন গভীর শোক প্রকাশ করে এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়।

 

মৃত ৩ জন হচ্ছেন মুন্সিগঞ্জ জেলার রাজ্জাক ভুঁইয়ার ছেলে জব্বার আলী পাসপোর্ট নম্বর : EG0459172, এবং আবু তাহের পাসপোর্ট নম্বর: EF0555071, তার নাম মো: মহিবুল হক, বাড়ি চুয়াডাঙ্গা, পাসপোর্ট নম্বর : A03928472।

 

এছাড়া আরেকজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে জহুরবারুর সুলতানা আমিনাহ হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তার অবস্থাও আশংকাজনক। তার নাম সালাম (ডাকনাম আকাশ),পিতা: মহিউদ্দিন, তার বাড়িও মুন্সিগঞ্জ জেলায় পাসপোর্ট নম্বর : A02701730।

 

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এর নির্দেশে প্রথম সচিব (শ্রম) এ,এস, এম, জাহিদুর রহমান ও কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী জহুরবারুতে যান এবং হাসপাতাল , ফ্যাক্টরি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেন।

 

বর্তমানে মৃতদেহগুলো মর্গে রয়েছে। পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তাদেরকে বর্তমান পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এই মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে ৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু; হাইকমিশনের শোক

আপডেটের সময় : ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

 

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের একটি শিল্প এলাকায় পেনটাচেম এসডিএন বিএসডি কোম্পানিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গেল (৫ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার জোহরবারু প্রদেশের জালাল স্টোরি রোডে নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাথায় রড পড়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করেন আর একজন বাংলাদেশের নাগরিক।

 

শনিবার (১২ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এইসব তথ্য জানান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশি কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন গভীর শোক প্রকাশ করে এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়।

 

মৃত ৩ জন হচ্ছেন মুন্সিগঞ্জ জেলার রাজ্জাক ভুঁইয়ার ছেলে জব্বার আলী পাসপোর্ট নম্বর : EG0459172, এবং আবু তাহের পাসপোর্ট নম্বর: EF0555071, তার নাম মো: মহিবুল হক, বাড়ি চুয়াডাঙ্গা, পাসপোর্ট নম্বর : A03928472।

 

এছাড়া আরেকজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে জহুরবারুর সুলতানা আমিনাহ হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তার অবস্থাও আশংকাজনক। তার নাম সালাম (ডাকনাম আকাশ),পিতা: মহিউদ্দিন, তার বাড়িও মুন্সিগঞ্জ জেলায় পাসপোর্ট নম্বর : A02701730।

 

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এর নির্দেশে প্রথম সচিব (শ্রম) এ,এস, এম, জাহিদুর রহমান ও কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী জহুরবারুতে যান এবং হাসপাতাল , ফ্যাক্টরি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেন।

 

বর্তমানে মৃতদেহগুলো মর্গে রয়েছে। পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তাদেরকে বর্তমান পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এই মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চলছে।