ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ায় বাংলাদেশির জরিমানা

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 89


মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের (জেআইএম) একজন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে একটি নাসি কান্দার (স্থানীয় খাবার) রেস্তোরাঁর মালিককে ৩০ হাজার রিংগিত জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পেরাকের ইপোহ দায়রা আদালত এ আদেশ দেন দায়রা আদালত।

অভিযুক্ত বাংলাদেশি শাজাহান আলী রেজাউল (৩৭) ঐচ্ছিক অভিযোগে দোষ স্বীকার করলে বিচারক দাতুক ইব্রাহিম ওসমান এ সাজা দেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তকে তিন মাসের কারাদণ্ডও ভোগ করতে হবে।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ৪০(১)(এ) এর অধীনে মালয়েশিয়া সরকারকে ঘুষের অর্থ হিসেবে দেয় সেই ১০ হাজার রিংগিতও বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

অভিযোগপত্র অনুসারে জানা যায়, বাংলাদেশি ঐ ব্যক্তি গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩.৩০ মিনিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (কেডিএন) কমপ্লেক্স, পারস্যারান মেরু উতামার পেরাক জিআইএম অফিসে ইমিগ্রেশন অফিসারকে ১০হাজার রিংগিত নগদ ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

অর্থের বিনিময়ে ইমিগ্রেশন অফিসার যেন তার অধীন ১৩ জন কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেন তাই ঘুষ প্রদান করেন ওই বাংলাদেশি। যেখানে তারা ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/১৯৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি) এবং ১৫(১)(সি) ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছে।

এই অপরাধের জন্য, অভিযুক্ত বাংলাদেশিকে দেশটির দণ্ডবিধির ২১৪ ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়, যাতে জরিমানা সহ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

প্রসিকিউশনটি পরিচালনা করেন এমএসিসি প্রসিকিউটিং অফিসার, শারুল আজুয়ান গাজালি এবং মো. আফিক আদনান এবং আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ায় বাংলাদেশির জরিমানা

আপডেটের সময় : ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪


মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের (জেআইএম) একজন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে একটি নাসি কান্দার (স্থানীয় খাবার) রেস্তোরাঁর মালিককে ৩০ হাজার রিংগিত জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পেরাকের ইপোহ দায়রা আদালত এ আদেশ দেন দায়রা আদালত।

অভিযুক্ত বাংলাদেশি শাজাহান আলী রেজাউল (৩৭) ঐচ্ছিক অভিযোগে দোষ স্বীকার করলে বিচারক দাতুক ইব্রাহিম ওসমান এ সাজা দেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তকে তিন মাসের কারাদণ্ডও ভোগ করতে হবে।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ৪০(১)(এ) এর অধীনে মালয়েশিয়া সরকারকে ঘুষের অর্থ হিসেবে দেয় সেই ১০ হাজার রিংগিতও বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

অভিযোগপত্র অনুসারে জানা যায়, বাংলাদেশি ঐ ব্যক্তি গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩.৩০ মিনিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (কেডিএন) কমপ্লেক্স, পারস্যারান মেরু উতামার পেরাক জিআইএম অফিসে ইমিগ্রেশন অফিসারকে ১০হাজার রিংগিত নগদ ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

অর্থের বিনিময়ে ইমিগ্রেশন অফিসার যেন তার অধীন ১৩ জন কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেন তাই ঘুষ প্রদান করেন ওই বাংলাদেশি। যেখানে তারা ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/১৯৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি) এবং ১৫(১)(সি) ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছে।

এই অপরাধের জন্য, অভিযুক্ত বাংলাদেশিকে দেশটির দণ্ডবিধির ২১৪ ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়, যাতে জরিমানা সহ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

প্রসিকিউশনটি পরিচালনা করেন এমএসিসি প্রসিকিউটিং অফিসার, শারুল আজুয়ান গাজালি এবং মো. আফিক আদনান এবং আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।