সেপ্টেম্বরের প্রথম সাতদিনে এলো ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
- আপডেটের সময় : ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 94
বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। গেল মাসের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাসে। আগস্টের চেয়ে প্রবাসী আয় বাড়তে পারে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। এ মাসের প্রথম সাতদিনেই এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সাতদিনে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন দেশে আসছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার করে। এভাবে প্রবাসী আয় আসার ধারাবাহিকতা থাকলে চলতি মাসে আড়াই বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই প্রবাসী আয় আসার গতি ভালো। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। রেমিট্যান্স বেশি আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করছে সচেতনতা। আর ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর বছর হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। সেই বছরে মোট প্রবাসী আয় আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসের পুরো সময়ে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠান প্রবাসীরা।