ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিতে যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৬০২ অবৈধ অভিবাসী প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কর্মী নেয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন ড. ইউনূস সিঙ্গাপুর থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশ, আটক ২১ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশির ৬ লাখ টাকাতেও মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পারেননি, এখন সব পক্ষের টালবাহানা ! সেপ্টেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা বন্ধ দিল্লি, নিউইয়র্কসহ ৫ মিশনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নিয়োগকর্তা গ্রেফতার, ৭ দিনের রিমান্ড

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ১১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 86

 

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি নিয়োগকর্তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তবে কমিশন এখনো ঐ বাংলাদেশির নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।

 

মঙ্গলবার(১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) একটি আবেদন করার পর ম্যাজিস্ট্রেট ইরজা জুলাইখা রোহান উদ্দিন আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডের আদেশ জারি করেন।

 

মঙ্গলবার সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি স্পেশাল কাউন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকটি এজেন্ট এবং একটি এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির একাধিক কর্মকর্তাকে ২০০ মালয় রিংগিত থেকে প্রায় ২৫০০০ মালয় রিংগিত পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মালয়শিয়া প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি একটি কর্মী গ্রুপকে ইমিগ্রেশনে যথাযথ চেক না করেই মালয়েশিয়ার বিমান ফটক দিয়ে যাওয়ার সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এ অনৈতিক লেনদেন করা হয়েছে৷

 

ইমিগ্রেশনে ঘুষ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা পেতে ঐ বাংলাদেশি মালিক এ কাণ্ড করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে এমএসিসি। এভাবে ঘুষ দেওয়ার মানে হলো, সুরক্ষা, বিষয়গুলি সহজতর করা ও শর্ত পূরণ না করা এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৬/৬৩ এর ধারা ১৫৫ এর অধীনে বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ না করা বিদেশিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া।

 

মালয়েশিয়া দুর্নীতি দমন কমিশন(এমএসিসি) ইন্টেলিজেন্স ডিভিশনের পরিচালক দাতুক জয়নুল দারুসের সাথে সাংবাদিকেরা যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশি নিয়োগকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, মামলাটি বর্তমানে দেশের প্রচলিত আইন ২০০৯ এর ১৬ (ক) ও (খ) ধারায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নিয়োগকর্তা গ্রেফতার, ৭ দিনের রিমান্ড

আপডেটের সময় : ১১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি নিয়োগকর্তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তবে কমিশন এখনো ঐ বাংলাদেশির নাম ও বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।

 

মঙ্গলবার(১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) একটি আবেদন করার পর ম্যাজিস্ট্রেট ইরজা জুলাইখা রোহান উদ্দিন আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডের আদেশ জারি করেন।

 

মঙ্গলবার সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি স্পেশাল কাউন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকটি এজেন্ট এবং একটি এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির একাধিক কর্মকর্তাকে ২০০ মালয় রিংগিত থেকে প্রায় ২৫০০০ মালয় রিংগিত পর্যন্ত ঘুষ দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মালয়শিয়া প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি একটি কর্মী গ্রুপকে ইমিগ্রেশনে যথাযথ চেক না করেই মালয়েশিয়ার বিমান ফটক দিয়ে যাওয়ার সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এ অনৈতিক লেনদেন করা হয়েছে৷

 

ইমিগ্রেশনে ঘুষ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা পেতে ঐ বাংলাদেশি মালিক এ কাণ্ড করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে এমএসিসি। এভাবে ঘুষ দেওয়ার মানে হলো, সুরক্ষা, বিষয়গুলি সহজতর করা ও শর্ত পূরণ না করা এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৬/৬৩ এর ধারা ১৫৫ এর অধীনে বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ না করা বিদেশিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া।

 

মালয়েশিয়া দুর্নীতি দমন কমিশন(এমএসিসি) ইন্টেলিজেন্স ডিভিশনের পরিচালক দাতুক জয়নুল দারুসের সাথে সাংবাদিকেরা যোগাযোগ করলে তিনি বাংলাদেশি নিয়োগকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, মামলাটি বর্তমানে দেশের প্রচলিত আইন ২০০৯ এর ১৬ (ক) ও (খ) ধারায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।