মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
- আপডেটের সময় : ১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 92
মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্ণর ড. হাজী জুহার বিন দাতুক হাজী মহিরুদ্দিনের সঙ্গে হাইকমিশনার মো: শামীম আহসানের সৌজন্য সাক্ষাত। ছবি: সংগৃহীত।
মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নর ড. হাজী জুহার বিন দাতুক হাজী মহিরুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় বলা হয়, ইস্তানা সেরি কিনাবালুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান গভর্নর।
২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয়েই বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পারস্পরিক লাভজনক কাজের জন্য গভর্নরের কার্যালয় এবং হাইকমিশনের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। এসময় তারা দু’জন স্মারক বিনিময়ও করেন।
বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন শ্রমবিষয়ক কাউন্সেলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, রাজনৈতিক কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী ও প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ। একই দিনে হাইকমিশনার সাবাহ প্রদেশের অর্থমন্ত্রী দাতুক সেরি পাংলিমা মাসিদি মানজুনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সাবাহর অর্থ উপমন্ত্রীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিষয় বিশেষ করে সাবাহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। হাইকমিশনার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এবং অর্থমন্ত্রীর কার্যালয় ও হাইকমিশনের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্যোগে সহায়তা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে ৪ সেপ্টেম্বর হাইকমিশনার, কোটা কিনাবালু চাইনিজ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেকেসিসিসিআই) সভাপতি দাতুক মাইকেল লুই ইয়েন সাং-এর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকের সময় চেম্বারের সিনিয়র কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করেন চেম্বারের নেতৃবৃন্দ। এ সময় রাজ্য সরকারের অনুমোদনের ভিত্তিতে সাবাহে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের জন্য তাদের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ও চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা বিবেচনা করে, বাণিজ্য প্রচার ও বিনিয়োগ সুবিধা, ডিজিটাল অর্থনীতি, দক্ষতা ভাগাভাগি এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারকরণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ অভিন্ন স্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।