ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯ অবৈধ অভিবাসী আটক আজীবন সম্মাননা পেলেন মালয়েশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এশিয়া জুড়ে নতুন প্রতিভাদের প্ল্যাটফর্ম ‘এশিয়ান কে-পপ স্টারস’ প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে : প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের পাঁয়তারা বিডিএক্সপ্যাটস এর উদ্যোগে কুয়ালালামপুরে বসছে “বৈশাখী মেলা” মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে হাইকমিশনারের মতবিনিময় মালয়েশিয়ায় দেড় শতাধিক বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ায় এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর রাস্তায় ফেলে রাখলো রুমমেটরা মালয়েশিয়ায় ৩ মাসে বাংলাদেশিসহ ১৯,৩৬১ অবৈধ আটক

ছাত্র আন্দোলনে আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত সেই ৫৭ বাংলাদেশি কারামুক্ত

প্রবাস বার্তা ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 468

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গত জুলাই মাসে বিক্ষোভ করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করে এ আদেশ দেন তিনি।

 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত ৫৭ জন বাংলাদেশিকে আজ দেশটির প্রেসিডেন্ট মুক্তির আদেশ দিয়েছেন।

 

প্রেসিডেন্টের এ নির্দেশের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাটর্নি-জেনারেল ড. হামাদ আল শামসি জানিয়েছেন, বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের সাজা স্থগিত করা হয়েছে এবং তাদেরকে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 

আমিরাতের অ্যাটর্নি-জেনারেল দেশটির সকল বাসিন্দাকে দেশের আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে মত প্রকাশের অধিকার সংরক্ষিত আছে এবং এর জন্য আইনি কাঠামো বিদ্যমান। তবে এই অধিকার যেন জাতীয় স্বার্থ বা জনগণের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

 

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ‍আটক করা হয়। গেল ২২ জুলাই দুবাইয়ের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আটক করে কারাদণ্ড দেয়া হয় তাদের। এর মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন স্থানীয় আদালত।

 

১১ আগস্ট পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে সেই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলবেন।

 

তার পর দিনই ১২ আগস্ট এই ৫৭ বাংলাদেশির মুক্তির জন্য আইনজীবী ওলোরা আফরিনকে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে ওলোরা আফরিনকে সাহায্য করে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দূতাবাস। এর আগে ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে তারা।

শেয়ার করুন

ছাত্র আন্দোলনে আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত সেই ৫৭ বাংলাদেশি কারামুক্ত

আপডেটের সময় : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গত জুলাই মাসে বিক্ষোভ করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করে এ আদেশ দেন তিনি।

 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত ৫৭ জন বাংলাদেশিকে আজ দেশটির প্রেসিডেন্ট মুক্তির আদেশ দিয়েছেন।

 

প্রেসিডেন্টের এ নির্দেশের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাটর্নি-জেনারেল ড. হামাদ আল শামসি জানিয়েছেন, বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের সাজা স্থগিত করা হয়েছে এবং তাদেরকে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 

আমিরাতের অ্যাটর্নি-জেনারেল দেশটির সকল বাসিন্দাকে দেশের আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে মত প্রকাশের অধিকার সংরক্ষিত আছে এবং এর জন্য আইনি কাঠামো বিদ্যমান। তবে এই অধিকার যেন জাতীয় স্বার্থ বা জনগণের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

 

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ‍আটক করা হয়। গেল ২২ জুলাই দুবাইয়ের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আটক করে কারাদণ্ড দেয়া হয় তাদের। এর মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন স্থানীয় আদালত।

 

১১ আগস্ট পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে সেই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলবেন।

 

তার পর দিনই ১২ আগস্ট এই ৫৭ বাংলাদেশির মুক্তির জন্য আইনজীবী ওলোরা আফরিনকে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে ওলোরা আফরিনকে সাহায্য করে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দূতাবাস। এর আগে ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে তারা।