ঢাকা , সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ১১ বাংলাদেশি গ্রেফতার

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / 154

 

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে অভিবাসন বিভাগ। গ্রেফতার করা হয়েছে একজন ভারতীয় নাগরিককেও। গ্রেফতারদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের ৫৩০ টি পাসপোর্ট। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পুত্রজায়া অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

২৯ আগস্ট, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বন্দর মেনজালারা, জালান মেদান টুয়াঙ্কু, জালান তিয়ং নাম এবং জালান চেরাসসহ ৪টি স্থানে গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়া এবং বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

অভিযানে ১১ বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয় মালয়েশিয়ান এক নারীকেও। যিনি কোম্পানির মালিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত সকলের বয়স ৩৩ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে।

 

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ৩ বাংলাদেশি, একজন ভারতীয় ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং ২ বাংলাদেশি পুরুষ অতিরিক্ত অবস্থান করেছিলেন। যদিও অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের এই দেশে থাকার জন্য কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট নেই।

 

অভিযানে ৪১৪ টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৫৭ টি ভারতীয়, ৩৬ টি ইন্দোনেশিয়ার, ৯ টি মায়ানমারের, পাকিস্তানের ৭ টি, শ্রীলঙ্কার ৪ টি, ফিলিপাইনের ১ টি, নেপালের ১ টি এবং মালয়েশিয়ান ১ টি পাসপোর্ট। এছাড়া কম্পিউটারের ৫ সেট, ল্যাপটপের ১ ইউনিট, ২ ইউনিট ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ডিকোডার, ২ ইউনিট প্রিন্টার, ১৪ ইউনিট কোম্পানির স্ট্যাম্প, ব্যবসায়িক কার্ড , সিআইডিবি রেজিস্ট্রেশন কার্ড, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের ৩ টি জন্ম সনদ এবং নগদ ১৩ হাজার ৯০০ রিঙ্গিত জব্দ করেছে অভিবাসন বিভাগ।

 

সিন্ডিকেটের মোডাস অপারেন্ডি হল বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট এবং পাস সম্পর্কিত জিআইএম-এর সাথে মোকাবিলা করার জন্য পরিষেবা অফার করা, যেমন সোশ্যাল ভিজিট পাস (পিএলএস), টেম্পোরারি ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেস), ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ২.০ (আরটিকে) এবং ভিসা। প্রদত্ত প্রতিটি পরিষেবার জন্য চার্জ নেওয়া হত ৫০০ রিঙ্গিত এর মতো। এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এক বছর ধরে এ কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো অধিকতর তদন্তে গ্রেফতারদের রাখা হয়েছে, বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে।

 

এদিকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন এবং অ্যান্টি স্মাগলিং-এর অধীনে যেকোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন বিভাগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে ৩০ আগস্ট শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনের উপপরিচালক (অপারেশন) জাফরি বিন এমবোক তাহা।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ১১ বাংলাদেশি গ্রেফতার

আপডেটের সময় : ০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

 

মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযানে ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে অভিবাসন বিভাগ। গ্রেফতার করা হয়েছে একজন ভারতীয় নাগরিককেও। গ্রেফতারদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের ৫৩০ টি পাসপোর্ট। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পুত্রজায়া অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

২৯ আগস্ট, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বন্দর মেনজালারা, জালান মেদান টুয়াঙ্কু, জালান তিয়ং নাম এবং জালান চেরাসসহ ৪টি স্থানে গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়া এবং বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

অভিযানে ১১ বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয় মালয়েশিয়ান এক নারীকেও। যিনি কোম্পানির মালিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত সকলের বয়স ৩৩ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে।

 

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ৩ বাংলাদেশি, একজন ভারতীয় ব্যক্তির বৈধ পাসপোর্ট ছিল এবং ২ বাংলাদেশি পুরুষ অতিরিক্ত অবস্থান করেছিলেন। যদিও অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের এই দেশে থাকার জন্য কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট নেই।

 

অভিযানে ৪১৪ টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৫৭ টি ভারতীয়, ৩৬ টি ইন্দোনেশিয়ার, ৯ টি মায়ানমারের, পাকিস্তানের ৭ টি, শ্রীলঙ্কার ৪ টি, ফিলিপাইনের ১ টি, নেপালের ১ টি এবং মালয়েশিয়ান ১ টি পাসপোর্ট। এছাড়া কম্পিউটারের ৫ সেট, ল্যাপটপের ১ ইউনিট, ২ ইউনিট ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ডিকোডার, ২ ইউনিট প্রিন্টার, ১৪ ইউনিট কোম্পানির স্ট্যাম্প, ব্যবসায়িক কার্ড , সিআইডিবি রেজিস্ট্রেশন কার্ড, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের ৩ টি জন্ম সনদ এবং নগদ ১৩ হাজার ৯০০ রিঙ্গিত জব্দ করেছে অভিবাসন বিভাগ।

 

সিন্ডিকেটের মোডাস অপারেন্ডি হল বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট এবং পাস সম্পর্কিত জিআইএম-এর সাথে মোকাবিলা করার জন্য পরিষেবা অফার করা, যেমন সোশ্যাল ভিজিট পাস (পিএলএস), টেম্পোরারি ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেস), ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ২.০ (আরটিকে) এবং ভিসা। প্রদত্ত প্রতিটি পরিষেবার জন্য চার্জ নেওয়া হত ৫০০ রিঙ্গিত এর মতো। এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এক বছর ধরে এ কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো অধিকতর তদন্তে গ্রেফতারদের রাখা হয়েছে, বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে।

 

এদিকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন এবং অ্যান্টি স্মাগলিং-এর অধীনে যেকোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন বিভাগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে ৩০ আগস্ট শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনের উপপরিচালক (অপারেশন) জাফরি বিন এমবোক তাহা।