ঢাকা , শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেফতার

প্রবাস বার্তা ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 139

 

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। তবে ঠিক কোন মামলায় আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

 

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ‘হিরো আলম’কে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

 

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ)।

 

এর আগে আওয়ামী লীগের অনেক এমপি মন্ত্রীসহ বেশ কিছু নেতা কর্মী আটক বা গ্রেফতার হন। তাদের মধ্যে শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, কক্সবাজারের সাবেক এমপি ‘ইয়াবা ডন’ আবদুর রহমান বদি এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

 

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও আটক হন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান।

 

এছাড়া আরো আটক হয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, যশোর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আহমদ হোসেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেফতার

আপডেটের সময় : ০৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

 

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। তবে ঠিক কোন মামলায় আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

 

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ‘হিরো আলম’কে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

 

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ)।

 

এর আগে আওয়ামী লীগের অনেক এমপি মন্ত্রীসহ বেশ কিছু নেতা কর্মী আটক বা গ্রেফতার হন। তাদের মধ্যে শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, কক্সবাজারের সাবেক এমপি ‘ইয়াবা ডন’ আবদুর রহমান বদি এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

 

এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও আটক হন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান।

 

এছাড়া আরো আটক হয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, যশোর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আহমদ হোসেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।