ছুটির দিনেও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
- আপডেটের সময় : ১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
- / 249
ছুটির দিনেও দপ্তরে ব্যস্ত সময় পার করলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। পুরো সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল দশটায় মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। প্রথমেই নিজ দপ্তরে প্রবেশ করেন তিনি। ঘণ্টাখানেক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংস্থা প্রধানের সাথে বৈঠক করেন। এরপর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
জানা গেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন তিনি। একইসাথে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তাঁর আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এর আগে মন্ত্রণালয় অফিস করলেও আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক করেননি তিনি।
শনিবারের বৈঠকে উপদেষ্টা ডঃ আসিফ নজরুল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। প্রবাসীদের মর্যাদা অধিকার এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি। অধ্যাপক আসিফ নজরুল কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। তাই প্রবাসীদের মর্যাদার বিষয়টি শুধু মুখে নয় সবাইকে কাজে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। যাতে প্রবাসীরা সম্মান ও মর্যাদা অনুভব করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথমে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে। এরপর ১৬ আগস্ট দপ্তর বণ্টন ও রদবদলের সময়, আরো দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় তাঁকে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই অধ্যাপক বরাবরই স্পষ্টভাষী ও সাহসী বক্তব্যের কারণে দেশবাসীর কাছে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পাশে রাজপথে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেও প্রশংসিত হন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও প্রভাবশালী উপদেষ্টা হিসেবেই মনে করা হয় তাঁকে।