ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ার কোটা ভারুতে ১১৪ বাংলাদেশি আটক বিভিন্ন দেশের ৪৮,৩১৯ বন্দীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া মহান মে দিবসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক কার্ড চালুর ঘোষণা কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা ‘ইশরাক হোসেন ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে এনসিপি আদালত অবমাননা করেছে’ মালয়েশিয়ায় জাল পারমিট বিক্রির মূল হোতা বাংলাদেশি আটক

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাসহ ১২ জন রিমান্ডে

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 208

 

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) ৫ কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড আদেশে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯ জন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা রয়েছেন। তাদেরকে ৩ ও ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

 

হারিয়ান মেট্রো ও মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ আগষ্ট দুর্নীতির সাথে জড়িতদের ক্লাং উপত্যকা, পেনাং এবং কেলান্টানের চারপাশে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) অপ পাম্প অপারেশনের নামে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

বুধবার (২১ আগষ্ট) সকালে গ্রেফতারদের পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হলে দুর্নীতিদমন কমিশন (এমএসিসি)”র আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট নাদিয়া আবদ রাজাক। এমএসিসি আইন ২০০৯ এর ধারা ১৬(এ)(বি) এবং ১৬(বি)(বি) অনুসারে পরিচালিত হয় এবং তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

 

এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) দুর্নীতির সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশীদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

 

দাতুক রুসলিন বলেন, অভিবাসন বিভাগ দেশের প্রবেশদ্বারে বা সারাদেশের যে কোনও ইমিগ্রেশন অফিসে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত কোনও কর্মকর্তাকে আপস করবে না এবং রক্ষাও করবে না। “অপরাধী কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হলে বরখাস্ত সহ বিদ্যমান আইনের বিধানের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা এবং শাস্তি দেওয়া হবে।

 

বুধবার পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের সততা সর্বদা সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

 

তিনি বলেন, অভিবাসন বিভাগও অভিবাসন কর্মকর্তাদের অসদাচরণ যেমন দুর্ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার, শাস্তিমূলক অপরাধ এবং দুর্নীতির বিষয়ে ০৩-৮৮৮০ ১২৪৬ নম্বরে কল করে বা aduanintegriti@imi.gov.my ইমেল করে অভিযোগ করতে জনসাধারণকে স্বাগত জানায়। এ ছাড়া লেভেল ৪, ইন্টিগ্রিটি ডিভিশন, মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট হেডকোয়ার্টার, পুত্রজায়াতেও যোগাযোগ করতে বলেছেন পরিচালক।

শেয়ার করুন

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাসহ ১২ জন রিমান্ডে

আপডেটের সময় : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

 

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) ৫ কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড আদেশে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯ জন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা রয়েছেন। তাদেরকে ৩ ও ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

 

হারিয়ান মেট্রো ও মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ আগষ্ট দুর্নীতির সাথে জড়িতদের ক্লাং উপত্যকা, পেনাং এবং কেলান্টানের চারপাশে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) অপ পাম্প অপারেশনের নামে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

বুধবার (২১ আগষ্ট) সকালে গ্রেফতারদের পুত্রজায়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হলে দুর্নীতিদমন কমিশন (এমএসিসি)”র আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট নাদিয়া আবদ রাজাক। এমএসিসি আইন ২০০৯ এর ধারা ১৬(এ)(বি) এবং ১৬(বি)(বি) অনুসারে পরিচালিত হয় এবং তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

 

এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) দুর্নীতির সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশীদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

 

দাতুক রুসলিন বলেন, অভিবাসন বিভাগ দেশের প্রবেশদ্বারে বা সারাদেশের যে কোনও ইমিগ্রেশন অফিসে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত কোনও কর্মকর্তাকে আপস করবে না এবং রক্ষাও করবে না। “অপরাধী কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হলে বরখাস্ত সহ বিদ্যমান আইনের বিধানের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা এবং শাস্তি দেওয়া হবে।

 

বুধবার পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের সততা সর্বদা সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

 

তিনি বলেন, অভিবাসন বিভাগও অভিবাসন কর্মকর্তাদের অসদাচরণ যেমন দুর্ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার, শাস্তিমূলক অপরাধ এবং দুর্নীতির বিষয়ে ০৩-৮৮৮০ ১২৪৬ নম্বরে কল করে বা aduanintegriti@imi.gov.my ইমেল করে অভিযোগ করতে জনসাধারণকে স্বাগত জানায়। এ ছাড়া লেভেল ৪, ইন্টিগ্রিটি ডিভিশন, মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট হেডকোয়ার্টার, পুত্রজায়াতেও যোগাযোগ করতে বলেছেন পরিচালক।