মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ
- আপডেটের সময় : ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
- / 210
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন ও মো. আবুল কাশেম সেলিম।
রুলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়াকে কিছু ব্যক্তি ও রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির সিন্ডিকেটমুক্ত করে সকল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নির্ধারিত ব্যয়ের কয়েকগুণ বেশি ফি নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহী কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে একটি পরিপূর্ণ নীতিমালা বা নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও মালয়েশিয়া যেতে না পারা ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আদালত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে দুদক ও বিএফআইইউকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বিএফআইইউ-এর প্রধান এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সি মেসার্স ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এস এম রফিকের পক্ষে এই রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়।
উল্লেখ: ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া সরকারের সাথে কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর পর ২০২২ সালের ৮ আগস্টে থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয় দেশটিতে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে গেছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫২ জন কর্মী। আর বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৯ কর্মী। আর শেষ সময়ে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দেশটিতে যেতেন পারেনি প্রায় ১৭ হাজার কর্মী।