মালয়েশিয়ার মালাকা প্রদেশে দিনব্যাপী হাইকমিশনের কনস্যুলার সেবা ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউজে ই-পাসপোর্টের আবেদনগ্রহণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট সম্পন্নকরণ ও এম আর পি পাসপোর্ট দেয়াসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা দেয়া হয়।

এছাড়া বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানো ও সার্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান| মতবিনিময় সভায় প্রদেশে কর্মরত প্রবাসীদের বেতন, থাকার জায়গাসহ বিভিন্ন সুবিধা এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

হাইকমিশনার প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি সকলকে সাম্প্রতিক সময়ে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর বিষয়ে দেশ বিরোধী অপপ্রচারে কান না দেয়ার এবং অপপ্রচারকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

হাইকমিশনার সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সব নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। এর সুবিধা বর্ণনার সময় তিনি সকলকে ওয়েজ আর্নারস ওয়েল ফেয়ার বোর্ডের সদস্য হওয়ার আহবান জানান।

তিনি সকলকে মালয়েশিয়া সরকারের নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বান জানান। মতবিনিময়কালে হাইকমিশনার প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় হাইকমিশনের পক্ষ হতে প্রবাসীদের মাঝে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো, সার্বজনীন পেনশন স্কীম এবং ওয়েজ আর্নারস ওয়েল ফেয়ার বোর্ডের সদস্য হওয়া সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়।

হাইকমিশনারের সঙ্গে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে সরাসরি কথা পেরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সিটি ব্যাংক মানি ট্রান্সফার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান ফারাজী এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন, এবং বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত পাসপোর্ট, ভিসা ও অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত আউটসোর্সিং কোম্পানি এর ডিরেক্টর আরমান পারভেজ মুরাদসহ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সেবা প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।