ঢাকা , বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান বিভিন্ন দূতাবাসের

প্রবাস বার্তা ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / 162

 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের চলমান কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান জানিয়েছে বিভিন্ন দূতাবাস। বৈধপথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কুয়েত দূতাবাস এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশন।

 

কুয়েত দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈধ চ্যানেল ব্যতীত হুন্ডি বা অন্য কোন উপায়ে অর্থ পাঠানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাৎ হলে কোন আইনি সহায়তা পাওয়া যায় না এবং কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর শতকরা ২.৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। পাঠানো অর্থ ব্যাংক হিসাবে পৌঁছানোর সাথে সাথেই প্রণোদনার অর্থও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা হয়।

 

 

মালয়েশিয়া হাইকমিশনে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “অবৈধ পথে অর্থ পাঠালে তা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থসহ সার্বিকভাবে দেশের জন্য চরম ক্ষতিকর। যা বিদেশে অর্থপাচার, নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। এছাড়া The Bangladesh Passport Order 1973 (বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ১৯৭৩) অনুসারে “আমরা যারা বিদেশে অবস্থান করছি, তাদের দায়িত্ব রয়েছে কেবলমাত্র বৈধপথে অর্থ প্রেরণ করা।” এটা সম্মানিত পাসপোর্টধারীদের দেশের প্রতি পবিত্র দায়িত্ব। অধিকন্তু, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী হুন্ডি অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

 

এদিকে প্রবাসীদের প্রতি বাংলাদেশ দুবাই কনস্যুলেট ও কমিউনিটি নেতারা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন জানান, প্রতারিত না হতে হুন্ডি পরিহার করে বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর অনুরোধ করেন।

 

গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবের জবাব দিতে হবে তথ্য দিয়ে। সত্যই হচ্ছে মিথ্যার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জবাব। এটি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবসময় দিয়ে এসেছে, এখনও দেবে। তারা আরো বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশ প্রেমের প্রমাণ তারা দেখিয়ে দিবে।

 

তবে সাধারণ প্রবাসী ব্যবসায়িরা জানান, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ বাড়বে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।

 

শেয়ার করুন

প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান বিভিন্ন দূতাবাসের

আপডেটের সময় : ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের চলমান কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান জানিয়েছে বিভিন্ন দূতাবাস। বৈধপথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কুয়েত দূতাবাস এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশন।

 

কুয়েত দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈধ চ্যানেল ব্যতীত হুন্ডি বা অন্য কোন উপায়ে অর্থ পাঠানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাৎ হলে কোন আইনি সহায়তা পাওয়া যায় না এবং কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর শতকরা ২.৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। পাঠানো অর্থ ব্যাংক হিসাবে পৌঁছানোর সাথে সাথেই প্রণোদনার অর্থও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা হয়।

 

 

মালয়েশিয়া হাইকমিশনে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “অবৈধ পথে অর্থ পাঠালে তা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থসহ সার্বিকভাবে দেশের জন্য চরম ক্ষতিকর। যা বিদেশে অর্থপাচার, নাশকতা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। এছাড়া The Bangladesh Passport Order 1973 (বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন ১৯৭৩) অনুসারে “আমরা যারা বিদেশে অবস্থান করছি, তাদের দায়িত্ব রয়েছে কেবলমাত্র বৈধপথে অর্থ প্রেরণ করা।” এটা সম্মানিত পাসপোর্টধারীদের দেশের প্রতি পবিত্র দায়িত্ব। অধিকন্তু, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী হুন্ডি অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”

 

এদিকে প্রবাসীদের প্রতি বাংলাদেশ দুবাই কনস্যুলেট ও কমিউনিটি নেতারা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন জানান, প্রতারিত না হতে হুন্ডি পরিহার করে বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর অনুরোধ করেন।

 

গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবের জবাব দিতে হবে তথ্য দিয়ে। সত্যই হচ্ছে মিথ্যার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জবাব। এটি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবসময় দিয়ে এসেছে, এখনও দেবে। তারা আরো বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশ প্রেমের প্রমাণ তারা দেখিয়ে দিবে।

 

তবে সাধারণ প্রবাসী ব্যবসায়িরা জানান, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ বাড়বে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।