ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিরাতের ভিসা বন্ধের ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যম!

বিশেষ প্রতিনিধিব, প্রবাস বা‍র্তা
  • আপডেটের সময় : ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / 383

 

‘সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে’ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে দু’তিনটি টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজ ও আপডেট নিউজ আকারে প্রচার করে৤ এরপর সেই টেলিভিশের ব্রেকিং নিউজ দেখে অন্য টেলিভিশন চ্যানেলেও শুরু হয় অস্থিরতা৤ ভিসা বন্ধের তথ্য যেই কয়েকটি টেলিভিশন প্রচার করেছে, সেখানে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, “চলমান কোটা আন্দোলনে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আমিরাতে বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে দেশটি৤”

 

নিউজের শিরোনাম দেখে বড় ইস্যু মনে করায় টেলিভিশনের পাশাপাশি রাতেই বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রবাসী কল্যাণ বিট কাভার করা সাংবাদিকদের মধ্যে শোরগোল ফেলে দেয়৤ কিন্তু সেই রাতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা চালু না থাকায় আন্ত‍‍র্জাতিক কোন মিডিয়া সহজেই প‍‍র্যবেক্ষণের সুযোগও ছিল না৤ এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভার গণমাধ্যমের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় খবরটি ছড়িয়ে পড়ে আরো কিছু টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতায়৤ সেখানে ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়, “বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার৤” এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র ব্যবহার করেছে কোন কোন টেলিভিশন৤ যদিও সেখানে মন্ত্রণালয়ের কে বা কোন ক‍‍র্মক‍‍র্তা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বা জানিয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি৤

 

বুধবার (২৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। দু’একটি টেলিভিশন খবরের সূত্র হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় উল্লেখ করায় অন্যান্যরা তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। একই সাথে, মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকেও এই ব্রেকিং নিউজের বিষয়ে পিআরও সৈকত চন্দ্র হালদারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে করে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন মন্ত্রণালয়ের পিআরওসহ সংশ্লিষ্টরাও।

 

এদিকে অবজার্ভার পত্রিকার প্রবাস খাত নিয়ে কাজ করা সিনিয়র সাংবাদিক মহসিনুল করিম লেবু জানান, টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজ দেখে তিনিও বিষয়ের সত্যিতা যাচাই করতে এ খাতের নিয়মিত সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং এই তথ্যের সত্যতা না পাওয়ায় তিনি রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন।

 

বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও প্রবাস খাতের ডিজিটাল তথ্যভান্ডার ‘প্রবাস তথ্যকেন্দ্র’র ফাউন্ডার মিরাজ হোসেন গাজী জানান, ” মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর  থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই খবরটি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যম কর্মী আমাকে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চান। আমি তখনই আমার সহক‍‍র্মীদের তথ্যসহ জানাই এই ধরণের শিরোনামের সাথে বাস্তবতার মিল থাকার কোন সুযোগ নেই। কারণ ২০১৩ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ রাখে। করোনা সংক্রমণের পর প্রতিবেশি অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশিরাও ভিজিট ভিসায় দুবাই গিয়ে ওয়ার্ক ভিসায় পরিব‍‍র্তনের সুযোগ পায়। বর্তমানে সেটিও বন্ধ বলা চলে বা তৃতীয় দেশ ঘুরে এরপর ভিসা পাওয়ার সুযোগ আছে।”

 

মিরাজ হোসেন গাজী আরো জানান,  “দুবাই কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন এর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, ‘এখন শুধু মাত্র সরকারী ও আধা-সরকারী কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার সুযোগ আছে৤ এছাড়া প্রফেসনাল ক্যাটাগরি বা দক্ষ ক‍‍র্মী যাওয়ার সুযোগ আছে৤ তবে সাধারণ ক‍‍র্মী বা শ্রমিক যাওয়া যায় না৤’ ফলে আমিরাতের সাথে সমঝোতা স্মারক না থাকায় বাংলাদেশের জন্য ভিসা বন্ধের আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির জন্য সহজ বিষয় নয়। আমি খোঁজ নিয়ে যেটি জেনেছি- বিক্ষোভ করার জন্য ৫৭ জন কর্মীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের উপরে কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার যৌক্তিকতা থাকার কথা না।”

 

এদিকে বিবিসি, আলজাজিরা ও এএফপি নিউজ এজেন্সির খবরে জানা যায় বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্তারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিজ দেশের সরকারের রিরুদ্ধে আমিরাতে বিক্ষােভ করায় ৫৩ বাংলাদেশিকে ১০ বছর, ১ জনকে ১১ বছর ও ৩ জনকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৤

 

এই ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউএই’র গবেষক ডেভিন কেনে বলেছেন, “চলতি মাসে এই ঘটনা হচ্ছে দ্বিতীয় কোন ঘটনা, যেখানে কোন সহিংসতা না করেও দ্রুত শাস্তি পেতে হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের৤ এই গবেষক এএফপি নিউজ এজেন্সির কাছে আরো বলেন, আমিরাতের মাটিতে কোন রাষ্ট্র বা সরকারের প্রতি ভিন্নমত প্রকাশ করা ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে৤ এ ধরণের কোন কা‍‍র্যক্রমকে দমন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার৤”

 

 

বুধবার (২৪ জুলাই) এবিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকায় আরব আমিরাতের দূতাবাসে খোঁজ নিয়েও ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা এমন কিছু জানে না। বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছেন, তিনিও এবিষয়ে কিছু জানাননি।

 

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট কর্মী গিয়েছে ২৬ লাখ ২ হাজার ২৬ জন কর্মী। ২০২২ সালে গিয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ কর্মী। ২০২৩ সালে গিয়েছে ৯৮ হাজার ৪২২ কর্মী। ২০২৪ সালের জুন মাস প‍‍র্যন্ত দেশটিতে যেতে জনশক্তি ক‍‍র্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটি থেকে ৩৩ হাজার ৪৮৬ জন ক‍‍র্মীর জন্য ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে৤

 

শেয়ার করুন

আমিরাতের ভিসা বন্ধের ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যম!

আপডেটের সময় : ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

 

‘সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে’ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে দু’তিনটি টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজ ও আপডেট নিউজ আকারে প্রচার করে৤ এরপর সেই টেলিভিশের ব্রেকিং নিউজ দেখে অন্য টেলিভিশন চ্যানেলেও শুরু হয় অস্থিরতা৤ ভিসা বন্ধের তথ্য যেই কয়েকটি টেলিভিশন প্রচার করেছে, সেখানে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, “চলমান কোটা আন্দোলনে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আমিরাতে বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে দেশটি৤”

 

নিউজের শিরোনাম দেখে বড় ইস্যু মনে করায় টেলিভিশনের পাশাপাশি রাতেই বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রবাসী কল্যাণ বিট কাভার করা সাংবাদিকদের মধ্যে শোরগোল ফেলে দেয়৤ কিন্তু সেই রাতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা চালু না থাকায় আন্ত‍‍র্জাতিক কোন মিডিয়া সহজেই প‍‍র্যবেক্ষণের সুযোগও ছিল না৤ এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভার গণমাধ্যমের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় খবরটি ছড়িয়ে পড়ে আরো কিছু টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতায়৤ সেখানে ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়, “বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার৤” এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র ব্যবহার করেছে কোন কোন টেলিভিশন৤ যদিও সেখানে মন্ত্রণালয়ের কে বা কোন ক‍‍র্মক‍‍র্তা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বা জানিয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি৤

 

বুধবার (২৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। দু’একটি টেলিভিশন খবরের সূত্র হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় উল্লেখ করায় অন্যান্যরা তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। একই সাথে, মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকেও এই ব্রেকিং নিউজের বিষয়ে পিআরও সৈকত চন্দ্র হালদারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে করে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন মন্ত্রণালয়ের পিআরওসহ সংশ্লিষ্টরাও।

 

এদিকে অবজার্ভার পত্রিকার প্রবাস খাত নিয়ে কাজ করা সিনিয়র সাংবাদিক মহসিনুল করিম লেবু জানান, টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজ দেখে তিনিও বিষয়ের সত্যিতা যাচাই করতে এ খাতের নিয়মিত সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং এই তথ্যের সত্যতা না পাওয়ায় তিনি রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন।

 

বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও প্রবাস খাতের ডিজিটাল তথ্যভান্ডার ‘প্রবাস তথ্যকেন্দ্র’র ফাউন্ডার মিরাজ হোসেন গাজী জানান, ” মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর  থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই খবরটি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যম কর্মী আমাকে ফোন করে বিস্তারিত জানতে চান। আমি তখনই আমার সহক‍‍র্মীদের তথ্যসহ জানাই এই ধরণের শিরোনামের সাথে বাস্তবতার মিল থাকার কোন সুযোগ নেই। কারণ ২০১৩ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ রাখে। করোনা সংক্রমণের পর প্রতিবেশি অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশিরাও ভিজিট ভিসায় দুবাই গিয়ে ওয়ার্ক ভিসায় পরিব‍‍র্তনের সুযোগ পায়। বর্তমানে সেটিও বন্ধ বলা চলে বা তৃতীয় দেশ ঘুরে এরপর ভিসা পাওয়ার সুযোগ আছে।”

 

মিরাজ হোসেন গাজী আরো জানান,  “দুবাই কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন এর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, ‘এখন শুধু মাত্র সরকারী ও আধা-সরকারী কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার সুযোগ আছে৤ এছাড়া প্রফেসনাল ক্যাটাগরি বা দক্ষ ক‍‍র্মী যাওয়ার সুযোগ আছে৤ তবে সাধারণ ক‍‍র্মী বা শ্রমিক যাওয়া যায় না৤’ ফলে আমিরাতের সাথে সমঝোতা স্মারক না থাকায় বাংলাদেশের জন্য ভিসা বন্ধের আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির জন্য সহজ বিষয় নয়। আমি খোঁজ নিয়ে যেটি জেনেছি- বিক্ষোভ করার জন্য ৫৭ জন কর্মীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের উপরে কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার যৌক্তিকতা থাকার কথা না।”

 

এদিকে বিবিসি, আলজাজিরা ও এএফপি নিউজ এজেন্সির খবরে জানা যায় বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্তারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিজ দেশের সরকারের রিরুদ্ধে আমিরাতে বিক্ষােভ করায় ৫৩ বাংলাদেশিকে ১০ বছর, ১ জনকে ১১ বছর ও ৩ জনকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৤

 

এই ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউএই’র গবেষক ডেভিন কেনে বলেছেন, “চলতি মাসে এই ঘটনা হচ্ছে দ্বিতীয় কোন ঘটনা, যেখানে কোন সহিংসতা না করেও দ্রুত শাস্তি পেতে হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের৤ এই গবেষক এএফপি নিউজ এজেন্সির কাছে আরো বলেন, আমিরাতের মাটিতে কোন রাষ্ট্র বা সরকারের প্রতি ভিন্নমত প্রকাশ করা ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে৤ এ ধরণের কোন কা‍‍র্যক্রমকে দমন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার৤”

 

 

বুধবার (২৪ জুলাই) এবিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক ক‍‍র্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকায় আরব আমিরাতের দূতাবাসে খোঁজ নিয়েও ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা এমন কিছু জানে না। বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছেন, তিনিও এবিষয়ে কিছু জানাননি।

 

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট কর্মী গিয়েছে ২৬ লাখ ২ হাজার ২৬ জন কর্মী। ২০২২ সালে গিয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ কর্মী। ২০২৩ সালে গিয়েছে ৯৮ হাজার ৪২২ কর্মী। ২০২৪ সালের জুন মাস প‍‍র্যন্ত দেশটিতে যেতে জনশক্তি ক‍‍র্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটি থেকে ৩৩ হাজার ৪৮৬ জন ক‍‍র্মীর জন্য ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে৤