ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় অবৈধ বসতিতে অভিযান, বাংলাদেশিসহ ১১ অভিবাসী আটক

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • / 243

 

মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের অবৈধ বসতিতে অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। এ্যাস্ট্রো আওয়ানি ও হারিয়ান মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ জুলাই ভোরে সেরেম্বানের তামান বন্দর সেনাওয়াং-এ বিদেশিদের অবৈধ বসতিতে অভিযান চালিয়ে ৪ বাংলাদেশিসহ ১১ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএমএনএস)।

 

বুধবার (১৭ জুলাই) রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, তামান বন্দর সেনাওয়াং-এর জঙ্গলের কাছে ০.৩ হেক্টর (২,৭০৫ বর্গ মিটার) এলাকা জুড়ে একটি অবৈধ বসতিতে তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২৪ থেকে ৬০ বছর বয়সী আট নারীসহ মোট ৬৯ জন ইন্দোনেশিয়ান ও বাংলাদেশি নাগরিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।

 

এর মধ্যে অভিবাসন ১৯৫৯/৬৩ আইনে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যা চিহ্নিত অপরাধের মধ্যে ধারা ৬ (১) (সি) অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ নথি নেই এবং ১৫(১) (সি) ধারা যা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা।

 

পরিচালক বলেন,”তথ্য অনুসারে, তারা আট বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় জলে এবং বিদ্যুৎ চুরি করে সরবরাহের সাথে বসবাস করছে। সেইসাথে তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ফসল চাষ করে। ২০০৯ সালে থেকে তারা সেখানে বসবাস করছে।

 

“সামগ্রিকভাবে, তারা নির্মাণ কর্মী ছিলেন। তারা এখানে নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করেছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে তারা বসবাস শুরু করে, যা এখনো চলমান। তবে তারা এখন অন্যান্য নির্মাণ এলাকায় কাজ করে বলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিচালক।

 

অভিযানের সময় বিদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, নিয়োগকর্তারা তাদেরকে এ বসতিতে রেখেছে। কিন্তু গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন যে বিদেশিদের জন্য বাসস্থানটিকে একটি ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করছে যারা প্রতি রাতে ৫০ রিঙ্গিত চার্জ দিয়ে কাজের সন্ধানে এখানে আসেন।

 

পরিচালক বলেন, “আমরা এখনও এই জমির অবস্থা পরীক্ষা করছি এবং অনুমতি না থাকার বিষয়টি সত্য হলে চত্বরের কাঠামো ভেঙে ফেলাসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

অভিযানের সময় বিদেশিরা অভিবাসন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। আরো অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় অবৈধ বসতিতে অভিযান, বাংলাদেশিসহ ১১ অভিবাসী আটক

আপডেটের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

 

মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের অবৈধ বসতিতে অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন বিভাগ। এ্যাস্ট্রো আওয়ানি ও হারিয়ান মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ জুলাই ভোরে সেরেম্বানের তামান বন্দর সেনাওয়াং-এ বিদেশিদের অবৈধ বসতিতে অভিযান চালিয়ে ৪ বাংলাদেশিসহ ১১ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএমএনএস)।

 

বুধবার (১৭ জুলাই) রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, তামান বন্দর সেনাওয়াং-এর জঙ্গলের কাছে ০.৩ হেক্টর (২,৭০৫ বর্গ মিটার) এলাকা জুড়ে একটি অবৈধ বসতিতে তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২৪ থেকে ৬০ বছর বয়সী আট নারীসহ মোট ৬৯ জন ইন্দোনেশিয়ান ও বাংলাদেশি নাগরিকের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়।

 

এর মধ্যে অভিবাসন ১৯৫৯/৬৩ আইনে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যা চিহ্নিত অপরাধের মধ্যে ধারা ৬ (১) (সি) অনুযায়ী বৈধ পাসপোর্ট এবং ভ্রমণ নথি নেই এবং ১৫(১) (সি) ধারা যা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা।

 

পরিচালক বলেন,”তথ্য অনুসারে, তারা আট বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় জলে এবং বিদ্যুৎ চুরি করে সরবরাহের সাথে বসবাস করছে। সেইসাথে তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ফসল চাষ করে। ২০০৯ সালে থেকে তারা সেখানে বসবাস করছে।

 

“সামগ্রিকভাবে, তারা নির্মাণ কর্মী ছিলেন। তারা এখানে নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করেছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে তারা বসবাস শুরু করে, যা এখনো চলমান। তবে তারা এখন অন্যান্য নির্মাণ এলাকায় কাজ করে বলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিচালক।

 

অভিযানের সময় বিদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, নিয়োগকর্তারা তাদেরকে এ বসতিতে রেখেছে। কিন্তু গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন যে বিদেশিদের জন্য বাসস্থানটিকে একটি ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করছে যারা প্রতি রাতে ৫০ রিঙ্গিত চার্জ দিয়ে কাজের সন্ধানে এখানে আসেন।

 

পরিচালক বলেন, “আমরা এখনও এই জমির অবস্থা পরীক্ষা করছি এবং অনুমতি না থাকার বিষয়টি সত্য হলে চত্বরের কাঠামো ভেঙে ফেলাসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

অভিযানের সময় বিদেশিরা অভিবাসন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। আরো অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের ইমিগ্রেশন পরিচালক।