ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট না মানলে ক‍র্মী পাঠানো অনিশ্চিত! বৈদেশিক ক‍র্মসংস্থানে রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা ও বাস্তবতা: মোবারক উল্ল্যাহ শিমুল মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ উৎসব নি‍র্বাচনে এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সরকারকে লন্ডনের ঘোষণা ও এনসিপি-জামায়াতের গাত্রদাহ: গণতন্ত্রের পথে আরেকটি মাইলফলক বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ক‍র্মী নেবে জাপান ‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় শেষ হলো শিল্প উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলা

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / 306

 

বিশ্বের শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ গ্রহণে মালয়েশিয়ায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলা। রাজধানী কুয়ালালামপুরের মাইটেক কনভেনশন সেন্টারে, ২ জুলাই থেকে ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ‘ফুড অ্যান্ড ড্রিংকস মালয়েশিয়া বাই সিয়াল’ নামে চলে এ মেলা। আর এ মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ।

 

বাংলাদেশসহ ২২টি দেশ অংশগ্রহণ করে এবং ৩৩০টি বুথ এবং একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে পণ্য প্রদর্শন করা হয়। ⁠মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন।

 

বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি প্রাণ ফুডস লিমিটেড। মেলায় নির্ধারিত বুথের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে অন্য ৭টি দেশের (কানাডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

 

মেলা উদ্বোধনের দিন আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ এর বাংলাদেশ কর্নার এবং বাংলাদেশি পণ্যের বুথ পরিদর্শন করেন প্ল্যান্টেশন এবং কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন এবং সাবাহ রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী দাতুক ফুং জিন ঝে।

 

সমাপনী দিন (বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই ) মেলা এবং বাংলাদেশি স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান। এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

⁠রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।

 

পরিদর্শনের সময় আয়োজক কোম্পানি কমেক্সপোসিয়াম এশিয়া পেসিফিক এর পরিচালক হেনরি তান, একই কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার কিয়েন এনজি ও স্মৃতিকা সিভানেস, হাইকমিশনের কর্মকর্তা এবং প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মালয়েশিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মাইসেব, ম্যাট্রেড, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, পিকেএনএস, মালয়েশিয়া বিজনেস গ্রুপ, সাবাহ এমআইপিই, মালয়েশিয়া কোকো বোর্ড ও মালয়েশিয়া স্পাইস বোর্ডের সহায়তায় আয়োজিত বিশ্বের ব্র্যান্ড এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

 

বিশ্বব্যাপী বাজার অন্বেষণে শিল্প উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সমঝোতা, উদ্ভাবনী সমাধানে ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে প্রতি বছর এ বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার আয়োজন করা হয়।

 

বাংলাদেশ হাইকমিশন এর উদ্যোগে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ মালয়েশিয়া তথা আসিয়ান দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানির সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় শেষ হলো শিল্প উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলা

আপডেটের সময় : ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

 

বিশ্বের শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ গ্রহণে মালয়েশিয়ায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলা। রাজধানী কুয়ালালামপুরের মাইটেক কনভেনশন সেন্টারে, ২ জুলাই থেকে ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ‘ফুড অ্যান্ড ড্রিংকস মালয়েশিয়া বাই সিয়াল’ নামে চলে এ মেলা। আর এ মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ।

 

বাংলাদেশসহ ২২টি দেশ অংশগ্রহণ করে এবং ৩৩০টি বুথ এবং একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে পণ্য প্রদর্শন করা হয়। ⁠মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন।

 

বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি প্রাণ ফুডস লিমিটেড। মেলায় নির্ধারিত বুথের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে অন্য ৭টি দেশের (কানাডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

 

মেলা উদ্বোধনের দিন আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ এর বাংলাদেশ কর্নার এবং বাংলাদেশি পণ্যের বুথ পরিদর্শন করেন প্ল্যান্টেশন এবং কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন এবং সাবাহ রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী দাতুক ফুং জিন ঝে।

 

সমাপনী দিন (বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই ) মেলা এবং বাংলাদেশি স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান। এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

⁠রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।

 

পরিদর্শনের সময় আয়োজক কোম্পানি কমেক্সপোসিয়াম এশিয়া পেসিফিক এর পরিচালক হেনরি তান, একই কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার কিয়েন এনজি ও স্মৃতিকা সিভানেস, হাইকমিশনের কর্মকর্তা এবং প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মালয়েশিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মাইসেব, ম্যাট্রেড, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, পিকেএনএস, মালয়েশিয়া বিজনেস গ্রুপ, সাবাহ এমআইপিই, মালয়েশিয়া কোকো বোর্ড ও মালয়েশিয়া স্পাইস বোর্ডের সহায়তায় আয়োজিত বিশ্বের ব্র্যান্ড এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

 

বিশ্বব্যাপী বাজার অন্বেষণে শিল্প উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সমঝোতা, উদ্ভাবনী সমাধানে ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে প্রতি বছর এ বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার আয়োজন করা হয়।

 

বাংলাদেশ হাইকমিশন এর উদ্যোগে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ মালয়েশিয়া তথা আসিয়ান দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানির সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।