ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম থাকবে না’ মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের শিকার কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় আসিফ নজরুল ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে :ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াজুড়ে টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন, বাংলাদেশিসহ ১২৭০ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ার কোটা ভারুতে ১১৪ বাংলাদেশি আটক বিভিন্ন দেশের ৪৮,৩১৯ বন্দীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া মহান মে দিবসে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক কার্ড চালুর ঘোষণা কর্মীদের প্রতি মালয়েশিয়ান মালিকের অফুরান ভালোবাসা ‘ইশরাক হোসেন ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে এনসিপি আদালত অবমাননা করেছে’ মালয়েশিয়ায় জাল পারমিট বিক্রির মূল হোতা বাংলাদেশি আটক

নথি জালিয়াতি: মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
  • আপডেটের সময় : ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / 393

 

মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতি সিন্ডিকেট পরিচালনাকারি এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট। জিআইএম, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানী কুয়ালালামপুরের চৌকিট এলাকা থেকে বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। তবে বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করেনি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট।

 

জেআইএম-এর মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের একটি দলের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশির কাছে স্টুডেন্ট পাস পাওয়া গেছে।

 

রুসলিনের মতে, দুই সপ্তাহ ধরে চালানো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, অপারেশন দলটি চৌকিটের একটি হোটেল রুমে নথি জালিয়াতির প্রধান কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

 

তিনি আরো বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, এই সিন্ডিকেটটি তিন মাস ধরে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার যাদের ভ্রমণের কাগজপত্র নেই তাদের ভুয়া পাসপোর্ট সেবা দিয়ে আসছিল। “এই সিন্ডিকেটটি ফোমিমা নথিগুলি পেতে পাসপোর্ট ব্যবহার করে এবং প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য ১০০ থেকে ১৫০ রিঙ্গিত চার্জে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি পাসপোর্ট কপি তৈরি করত।

 

রুসলিন বলেন, অভিযানের সময় তারা একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, জাল সন্দেহে ৪৫টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও নেপালের ১০২টি পাসপোর্ট, জাল ইলেকট্রনিক ই-ভিসা নথির নয়টি শীট, ফোমেমা পরিদর্শন ফর্মের চারটি শীট, এতে ছাপা বাংলাদেশি পাসপোর্ট পৃষ্ঠা সহ কাগজ এবং জাল নথি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

 

অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৪ এর অধীনে আরো অধিকতর তদন্তের জন্য গেপ্তার হওয়া বাংলাদেশিকে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।

শেয়ার করুন

নথি জালিয়াতি: মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আপডেটের সময় : ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

 

মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতি সিন্ডিকেট পরিচালনাকারি এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট। জিআইএম, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানী কুয়ালালামপুরের চৌকিট এলাকা থেকে বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় নথি জালিয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। তবে বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করেনি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট।

 

জেআইএম-এর মহাপরিচালক, দাতুক রুসলিন জুসোহ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের একটি দলের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশির কাছে স্টুডেন্ট পাস পাওয়া গেছে।

 

রুসলিনের মতে, দুই সপ্তাহ ধরে চালানো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, অপারেশন দলটি চৌকিটের একটি হোটেল রুমে নথি জালিয়াতির প্রধান কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

 

তিনি আরো বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, এই সিন্ডিকেটটি তিন মাস ধরে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার যাদের ভ্রমণের কাগজপত্র নেই তাদের ভুয়া পাসপোর্ট সেবা দিয়ে আসছিল। “এই সিন্ডিকেটটি ফোমিমা নথিগুলি পেতে পাসপোর্ট ব্যবহার করে এবং প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য ১০০ থেকে ১৫০ রিঙ্গিত চার্জে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি পাসপোর্ট কপি তৈরি করত।

 

রুসলিন বলেন, অভিযানের সময় তারা একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, জাল সন্দেহে ৪৫টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও নেপালের ১০২টি পাসপোর্ট, জাল ইলেকট্রনিক ই-ভিসা নথির নয়টি শীট, ফোমেমা পরিদর্শন ফর্মের চারটি শীট, এতে ছাপা বাংলাদেশি পাসপোর্ট পৃষ্ঠা সহ কাগজ এবং জাল নথি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

 

অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৪ এর অধীনে আরো অধিকতর তদন্তের জন্য গেপ্তার হওয়া বাংলাদেশিকে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।