১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে রিক্রুটিং এজেন্সি
- আপডেটের সময় : ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
- / 298
৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদেরকে রিক্রুটিং এজেন্সি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে (১৮ জুলাই ২০২৪) টাকা ফেরত দিবে বলে জানিয়েছন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রুহুল আমিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ” গতকাল বুধবার রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে সভা হয়েছে। তারা টাকা ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে। বিদেশগামী কর্মীরা যত টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারবেন, তত টাকাই ফেরত দেবে এজেন্সি। ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীদের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নিবে। কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়ায় জড়িত সকল রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়টি বায়রা তত্ত্বাবধান করবে।
তিনি আরো বলেন, কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীর টাকা ফেরত না দিলে বায়রা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে এবং মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে ।
প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, অনেকে জায়গা-জমি বিক্রি করে, গবাদিপশু বিক্রি করে, ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে কষ্টার্জিত টাকা জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের যেতে না পারাটা দুঃখজনক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০০ বেসরকারি এজেন্সি অনুমোদন পায়। এর বাইরে কেউ কর্মী পাঠাতে চাইলে তাদের মাধ্যমে পাঠাতে হয়েছে। যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের কাগজপত্র কমবেশি ১০০ এজেন্সির সবার কাছেই আছে।
১০০ এজেন্সির দায় নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে কমবেশি সবাই দায়ী। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই উন্মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ মাসের শেষ দিকে দুই দেশের গঠিত যৌথ কারিগরি কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর শ্রমবাজার আবার চালু হবে। যেসব কর্মী শেষ সময়ে যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে। শ্রমবাজার চালু হলে যাতে তাঁরা শুরুতে মালয়েশিয়া যেতে পারেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “আমার ১৫ দিন দেখবো কতজন কর্মীকে টাকা দেয়া হয়েছে। তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীগুলো যেন তাদের টাকা ফেরত পায়। মানুষগুলো টাকা ফেরত পাওয়াটা আমাদের প্রধান কাজ। আমি আশা করি, বায়রা ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এবিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে।”
উল্লেখ: ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া সরকারের সাথে কর্মী পাঠানোর সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর পর ২০২২ সালের ৮ আগস্টে থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয় দেশটিতে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে গেছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫২ জন কর্মী। আর বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৯ কর্মী। আর শেষ সময়ে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দেশটিতে যেতেন পারেনি প্রায় ১৭ হাজার কর্মী।