প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে ১৫ কোটি টাকা বিতরণ
- আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
- / 147
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ৪ হাজার ২৬১ জন প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব প্রবাসীদের লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ গেল অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই ) প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত ঘোষ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
দেবব্রত ঘোষ জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩৬৬ টি লাশের বিপরীতে ১ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগস্ট মাসে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, অক্টোবরে ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, নভেম্বরে ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা, ডিসেম্বরে ১ কোটি ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৬৩টি লাশের বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ ০৫ হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১ কোটি ০৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, মার্চ মাসে ১ কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, এপ্রিলে ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মে মাসে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং জুন মাসে ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। সর্বমোট ১৪ কোটি ৯১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
দেবব্রত ঘোষ আরো জানান, বিভিন্ন এয়ারক্রাফট যোগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা থেকে গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। লাশ পরিবহণ ও দাফন খরচ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক স্বচ্ছতার সাথে প্রদান করা হয়। এছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ গ্রহণ করতে আসা প্রবাসী কর্মীর পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশ্রামাগার চালু করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ২টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রবাসে মৃত ৯৫ জন কর্মীর লাশ পরিবারের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ কর্মীকে গ্রহণ করে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বিনা ভাড়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবব্রত ঘোষ।
দেবব্রত আরো জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে যে কর্মী বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড করে বিদেশে চাকরি নিয়ে ৫ বছরের মধ্যে মারা গেলে। তাদের প্রত্যেকের পরিবার ৩ লক্ষ টাকা দেয়া হয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে। জীবন বিমা কর্পোরেশন থেকে পাবেন ১০ লাখ টাকা।