প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা না দেওয়ার সুপারিশ আইএমএফ’র
- আপডেটের সময় : ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
- / 313
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রকাশিত আইএমএফের স্টাফ প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ২০১৯ সালের আগস্টে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়।
আইএমএফ বলেছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিনিময় হার সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে (বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আকৃষ্ট করতে) যা অপ্রয়োজনীয়। তাই কর্তৃপক্ষকে এই ভর্তুকি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং ক্রমান্বয়ে এটি একেবারে বাদ দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
আইএমএফ বলছে, আইএমএফ সমর্থিত (ঋণ) কর্মসূচির আগেই সরকার এই প্রণোদনা চালু করেছে, তাই মাল্টিপল কারেন্সি প্র্যাকটিসের (এমসিপি বা বিভিন্ন মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের) ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়নের (পিসি) কোনো লঙ্ঘন হয়নি। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমসিপিতে আইইএমএফের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেমিট্যান্সের প্রণোদনা নিয়ে এমন পরামর্শ দিল আইএমএফ।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদন দিয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণ চায়। বাংলাদেশের ঋণ আবেদনের ছয় মাস পর সংস্থাটি গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আইএমএফ জানায়, শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেওয়া হবে।