মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে: মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী
- আপডেটের সময় : ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
- / 212
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। রবিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তার বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “প্রতি মাসে জনশক্তি রপ্তানি সেক্টর থেকে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারের বেশি টাকা আসে। তার মানে বছরে মোট ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা নিয়ে কিন্তু ষড়যন্ত্র দেশীয়ভাবে আছে আন্তর্জাতিকভাবে আছে। একটা গোষ্ঠী আছেন সম্ভবত যারা চান না বাংলাদেশের অর্থনীতি এত সুন্দর ভাবে সমৃদ্ধ হোক এবং এটা এগিয়ে যাক। যার জন্য যত রকমের ষড়যন্ত্র আছে ওনারা করতে থাকেন করছেন।”
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “অর্থনীতি নির্ভর করে যেই রেমিট্যান্সের উপরে তার বড় একটা অংশ আসে কিন্তু আমরা যে কর্মী পাঠিয়েছি বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছি কাজ করতে বর্তমানে যার সংখ্যা প্রায় এক কোটিরও বেশি। তারা যে টাকাটা পাঠান সেটা কিন্তু রেমিটেন্স হিসেবে আমাদের কাছে আসে। এটা আমাদের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি।”
তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা সবাই লক্ষ্য করেছি, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছে। মালয়েশিয়া একটা বাজার যেটা দ্বিতীয় বড় আমাদের জন্য। মালয়েশিয়ায় এই মুহূর্তে প্রায় ১১ লাখ লোক কাজ করেন। তাদের মাসিক মিনিমাম বেতনটা হিসাব করি ১৫০০ রিঙ্গিত ওভারটাইম বা অন্যান্য কিছু বাদ দিয়ে। তাহলে মাসে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করে। সেটা বছরে এসে দাঁড়াবে ৫১ হাজার কোটি টাকার মতো।”
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, “এই অংশ এই রেমিট্যান্স টা অনেকের কাছে সহ্য হচ্ছে না। এত এত আয় কেন হবে বাংলাদেশে? অর্থনীতি কেন এত সমৃদ্ধ হবে? তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবার বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে এটা বিশাল কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে।”
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, “আমাদের শ্রমবাজার যেসব দেশগুলোকে ফোকাস করে করা হয়। প্রত্যেকটা জায়গাতেই, সৌদি আরব থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুর, কাতার, দুবাই, যেকোনো দেশে প্রত্যেকটা জায়গায় কিছু বাছাই করা এজেন্সি কাজ করে। এই বাছাই করা এজেন্সি কারা? এটা সিদ্ধান্ত করে যারা কর্মী নিবে তারা। তাদের পদ্ধতির মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত করে।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ২ হাজার ২শ’র বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। সৌদি আরবে কাজ করতে পারে মাত্র ৫০০ এর মত। সৌদি সরকার এ কয়টাকে কে এনলিস্টম্যান্ট দিয়েছে এর বেশি দিবে না। যদি করে, পরবর্তীতে তারা করবেন। সিঙ্গাপুরের মাত্র ৬ জন কাজ করে। ঠিক একইভাবে কাতার, কুয়েতের একই অবস্থা। ”
মাসুদ চৌধুরী আরো বলেন, “মালয়েশিয়াতেও মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারণ করেছে। দুই দেশের এমওইউ যেটা সই হয়েছিল সেই এমওইউর মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে মালয়েশিয়া সরকার ১০০ টা এজেন্সিকে সিলেক্ট করেছে। এটা নিয়ে লেখালেখি উৎপাত হচ্ছে । তার মানে বছরে যা ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি পেতাম সেটা যেমন করে হোক বন্ধ করা হোক। এটা কার স্বার্থে হচ্ছে আমি জানি না আমাদের স্বার্থে নাকি অন্য কারো স্বার্থে?।”