মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ৩ হাজার কর্মীর অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে
- আপডেটের সময় : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
- / 249
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইমিগ্রেশনে মালয়েশিয়ার রিপোর্ট, ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্ট, বায়রা’র থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। সেজন্য একটু সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি একটু সময় চাইছে। আমরা তাদের আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দিয়েছি। ঈদের পরে আমরা রিপোর্ট নিয়ে বসবো।”
তদন্ত কমিটির কাছে ই-মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে কতজন কর্মী অভিযোগ দিয়েছে এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা কত? তা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আবেদন করা শেষ সময় ৮ জুন যদিও বলা হচ্ছে, এখনও আবেদন আসছে। আমরা এগুলো গ্রহণ করছি এবং গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তিন হাজার আবেদন এসেছে। এগুলোর মধ্যে শুধু সিঙ্গেল আবেদন নয়, গ্রুপ আবেদনও রয়েছে। সেই হিসেবে আমরা আমাদের তদন্ত টিমকে বলছি যেহেতু পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে এর ভিতরে যা অভিযোগ আসবে সেগুলো আমলে নিয়ে আসার জন্য। “
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,”কর্মীদের যেতে না পারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা কাউকে ছাড় দিব না। যাদের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তাদের ব্যাপারে কোনো দিন ছাড় দেব না। তাদের আইনের আওতায় এনে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
কর্মীদের টাকা ফেরতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টাকাটা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আমরা বসব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।’
মালয়েশিয়া গিয়ে কর্মীদের কাজ না পাওয়া এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যারা কাজ পাচ্ছে না আমরা রিক্রুটিং এজেন্সিকে ডেকে এবং যারা কাজ দেওয়ার জন্য ডিমান্ড নোট দিয়েছিল এবং যারা কর্মী নিয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। যদি কাজ না হয় তাহলে আমরা রিক্রুটিং এজেন্টের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ওমান ও কাতার সফর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুবাই শ্রমবাজার আরো গতিশীল ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। দুবাই থেকে ৩ হাজার গাড়ি চালক কর্মীর চাহিদা আছে। এর মধ্যে ৯০০ কর্মীর চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয় এসেছে।”
ওমানে ৯৬ হাজার কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদেরকে বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এই বৈধ করণের জন্য একটি জরিমানা নেওয়া হয়। এই জরিমানা মওকুফ করার জন্য আমরা ওমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এসেছি। তারা জরিমানা মওকুফ করার আশ্বাস দিয়েছে।’
ওমানে কর্মী ক্যাটাগরিতে কবে লোক নিবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয় আলোচনা করেছি। এটাও পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। দক্ষ কর্মী যাওয়া শুরু করলে অদক্ষ কর্মীও যাওয়া শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা হবে।”
ইতালির ভিসার জন্য জমা দেয়া পাসপোর্ট যাতে দ্রুত গতিতে দেয়া হয় এবং কর্মীরা যাতে ইটালি যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশটির রাষ্ট্রদূতের প্রতি এরইমধ্যে আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাথে আমরা বৈঠক করেছি আলাপ করেছি। তাদের (কর্মীদের) পাসপোর্ট যাতে দ্রুত গতিতে ফেরত পায় এবং তারা (কর্মীরা) যাতে ইটালি যাইতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতেছে। রাষ্ট্রদূত বলেছিল, সেই ব্যাপারে পদক্ষেপও রাষ্ট্রদূত নিয়েছে এবং এখন মোটামুটি অনেকটা ক্লিয়ার হচ্ছে।”
ইউরোপের অন্যান্য দেশের শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাজ চলছে এবং আমাদের লোকও যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ ইউরোপের মার্কেট’র (শ্রমবাজার) আরো গতি বৃদ্ধি হবে, মানুষ আরো বেশি করে যাবে ধীরে ধীরে আগ বাড়তে হবে।”