ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিতে যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৬০২ অবৈধ অভিবাসী প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কর্মী নেয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন ড. ইউনূস সিঙ্গাপুর থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশ, আটক ২১ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশির ৬ লাখ টাকাতেও মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পারেননি, এখন সব পক্ষের টালবাহানা ! সেপ্টেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা বন্ধ দিল্লি, নিউইয়র্কসহ ৫ মিশনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতায় দায়ীদের প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

বাসস
  • আপডেটের সময় : ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / 258

 

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এবার এ ব্যাপারে যে সমস্যা হয়েছে আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। যদি কেউ দায়ী হন, তাদের অবশ্যই বিচার হবে।’

 

বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

 

সম্পূরক প্রশ্নে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়াতে লোক পাঠানোর ব্যর্থতা কার, সে প্রশ্ন তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কিছু লোক দালালের মাধ্যমে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়। এতে সমস্যা তৈরি হয়।

 

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ ফ্লাইট, অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সবাইকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়ে গেছে। বাদ পড়ার কারণ কি সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, যখনই আমরা আলোচনা করে ঠিক করি কত লোক যাবে, কি যাবে। তখনই দেখা যায়, আমাদের দেশের এক শ্রেনীর লোক, যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছে। যার ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

 

যখনই সরকার আলোচনা করে সমাধানে যায়। তখনই কিছু লোক ছুটে যায়, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এটা শুধু মালয়েশিয়া না, অনেক জায়গায় ঘটে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বার বারই দেশবাসীকে বলেছেন জমিজামা, ঘরবাড়ি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ নিতে পারে। প্রয়োজনবোধে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে, সে যে যাচ্ছে তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কিনা, এটা হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।

 

সরকার প্রধান বলেন, তারপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, কে আগে যাবে, সেই দৌড় দিতে গিয়ে বাড়ি-ঘর সব বিক্রি করে, তারপরে পথে বসে। অথবা সেখানে যদি চলেও যায় বিপদে পড়ে। মানুষকে বলেছি এভাবে না যেতে। সোজাসুজি নিয়ম মানলে এ বিপদের সৃষ্টি হয় না। তিনি বলেন,“তবে এবার যে সমস্যা হচ্ছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি, কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতায় দায়ীদের প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

আপডেটের সময় : ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এবার এ ব্যাপারে যে সমস্যা হয়েছে আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। যদি কেউ দায়ী হন, তাদের অবশ্যই বিচার হবে।’

 

বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

 

সম্পূরক প্রশ্নে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়াতে লোক পাঠানোর ব্যর্থতা কার, সে প্রশ্ন তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কিছু লোক দালালের মাধ্যমে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায়। এতে সমস্যা তৈরি হয়।

 

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ ফ্লাইট, অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সবাইকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়ে গেছে। বাদ পড়ার কারণ কি সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, যখনই আমরা আলোচনা করে ঠিক করি কত লোক যাবে, কি যাবে। তখনই দেখা যায়, আমাদের দেশের এক শ্রেনীর লোক, যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছে। যার ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

 

যখনই সরকার আলোচনা করে সমাধানে যায়। তখনই কিছু লোক ছুটে যায়, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এটা শুধু মালয়েশিয়া না, অনেক জায়গায় ঘটে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বার বারই দেশবাসীকে বলেছেন জমিজামা, ঘরবাড়ি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ নিতে পারে। প্রয়োজনবোধে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে, সে যে যাচ্ছে তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কিনা, এটা হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।

 

সরকার প্রধান বলেন, তারপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, কে আগে যাবে, সেই দৌড় দিতে গিয়ে বাড়ি-ঘর সব বিক্রি করে, তারপরে পথে বসে। অথবা সেখানে যদি চলেও যায় বিপদে পড়ে। মানুষকে বলেছি এভাবে না যেতে। সোজাসুজি নিয়ম মানলে এ বিপদের সৃষ্টি হয় না। তিনি বলেন,“তবে এবার যে সমস্যা হচ্ছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি, কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”