ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিডিএক্সপ্যাটস এর উদ্যোগে কুয়ালালামপুরে বসছে “বৈশাখী মেলা” মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে হাইকমিশনারের মতবিনিময় মালয়েশিয়ায় দেড় শতাধিক বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক মালয়েশিয়ায় এক প্রবাসীর মৃত্যুর পর রাস্তায় ফেলে রাখলো রুমমেটরা মালয়েশিয়ায় ৩ মাসে বাংলাদেশিসহ ১৯,৩৬১ অবৈধ আটক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ৫৪-তম স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্র সচিব সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে বাংলাদেশিসহ আটক ১৪৮ অভিবাসী

বাংলাদেশের ১৭ হাজার কর্মী প্রবেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান মালয়েশিয়ার

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / 471

 

 

বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা’র (৩১ মে) মধ্যে যেতে না পারা ১৭ হাজার স্বপ্নভঙ্গ কর্মীর মালয়েশিয়াতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বহুজাতিক সংবাদ চ্যানেল সিএনএ সোমবার (০৩ জুন) জানিয়েছিলো, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সরকারের কাছে আবেদন করেছে যে, তারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে পূর্বে অনুমোদিত কাজের ভিসায় সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরা সেই কর্মী, যারা মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের দ্বারা কর্মী আনার জন্য ৩১ মে সময়সীমা ধ্যে যেতে না পারা কারণে তাদের কোটা বাতিল করা হয়।

 

এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ জুন) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল দেশটির সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, “যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সময় বাড়ানো হবে কি না? উত্তর হবে, না। আমরা অনেক আগেই ৩১ মে সময়সীমা ঘোষণা করেছি।”

 

দেশটির নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, এ বিষয়ে তিনি (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) ব্যাখ্যা করেছেন যে, কোটা অনুমোদন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থা সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো যত্ন সহকারে বিবেচনা করে ওই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।”

 

তিনি আরো জানিয়েছেন, গত ২৮ থেকে ৩১ মে;র মধ্যে, আমরা ২০হাজারের বেশি বিদেশি কর্মীর দেশে প্রবেশের রেকর্ড করেছি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে তাদের ভিসা পেয়েছেন।”

 

এছাড়া তিনি যুক্তি দেখিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের আগমনের ব্যবস্থা করার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন? যদি তাদের জরুরি প্রয়োজন হতো তবে তা ৩১ মে’র আগে করা উচিত ছিল এখন সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।”

 

মন্ত্রী অর্থনৈতিক যুক্তি দেখিয়ে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনাকে নাকচ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশেষ সময়ের জন্য অনুরোধ করেছিলো, কিন্তু চেক-আউট মেমোর মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের আসা যাওয়ার মালয়েশিয়ার বাজেট বর্তমান ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ২.৬ মিলিয়ন ছিলো, যা বর্তমানে ছাড়িয়ে গেছে।”

 

এছাড়া নতুন কোটা অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাক্টর, সার্ভিস এবং কন্সট্রাকশন খাতের জন্য, আমরা বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণ করেছি। এবং কৃষির খাতের জন্য, নতুন কোটা ছাড়াই পূর্বের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী ব্যবস্থা করবো।

শেয়ার করুন

বাংলাদেশের ১৭ হাজার কর্মী প্রবেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান মালয়েশিয়ার

আপডেটের সময় : ০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

 

 

বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা’র (৩১ মে) মধ্যে যেতে না পারা ১৭ হাজার স্বপ্নভঙ্গ কর্মীর মালয়েশিয়াতে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বহুজাতিক সংবাদ চ্যানেল সিএনএ সোমবার (০৩ জুন) জানিয়েছিলো, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সরকারের কাছে আবেদন করেছে যে, তারা প্রায় ১৭ হাজার কর্মীকে পূর্বে অনুমোদিত কাজের ভিসায় সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরা সেই কর্মী, যারা মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের দ্বারা কর্মী আনার জন্য ৩১ মে সময়সীমা ধ্যে যেতে না পারা কারণে তাদের কোটা বাতিল করা হয়।

 

এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ জুন) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল দেশটির সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, “যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সময় বাড়ানো হবে কি না? উত্তর হবে, না। আমরা অনেক আগেই ৩১ মে সময়সীমা ঘোষণা করেছি।”

 

দেশটির নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, এ বিষয়ে তিনি (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) ব্যাখ্যা করেছেন যে, কোটা অনুমোদন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থা সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো যত্ন সহকারে বিবেচনা করে ওই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।”

 

তিনি আরো জানিয়েছেন, গত ২৮ থেকে ৩১ মে;র মধ্যে, আমরা ২০হাজারের বেশি বিদেশি কর্মীর দেশে প্রবেশের রেকর্ড করেছি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে তাদের ভিসা পেয়েছেন।”

 

এছাড়া তিনি যুক্তি দেখিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের আগমনের ব্যবস্থা করার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন? যদি তাদের জরুরি প্রয়োজন হতো তবে তা ৩১ মে’র আগে করা উচিত ছিল এখন সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।”

 

মন্ত্রী অর্থনৈতিক যুক্তি দেখিয়ে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনাকে নাকচ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশেষ সময়ের জন্য অনুরোধ করেছিলো, কিন্তু চেক-আউট মেমোর মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের আসা যাওয়ার মালয়েশিয়ার বাজেট বর্তমান ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ২.৬ মিলিয়ন ছিলো, যা বর্তমানে ছাড়িয়ে গেছে।”

 

এছাড়া নতুন কোটা অনুমোদনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাক্টর, সার্ভিস এবং কন্সট্রাকশন খাতের জন্য, আমরা বিদেশি কর্মীর চাহিদা পূরণ করেছি। এবং কৃষির খাতের জন্য, নতুন কোটা ছাড়াই পূর্বের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী ব্যবস্থা করবো।