ঢাকা , বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়া যেতে পারেনি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী, ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস

রাকিব হাওলাদার: প্রবাস বার্তা
  • আপডেটের সময় : ০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / 315

 

মালয়েশিয়ায় সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পেয়েও দেশটিতে ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। আর এসব কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার কারণ খুঁজে বের করে যারা এর জন্য দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও জানানো হয়।

 

রোববার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য দেন তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) নূর মো. মাহবুবুল হককে প্রধান করে রোববার ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতেও কাজ করবে এ কমিটি। এ ছাড়া যে কেউ চাইলে এই তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বেশি টাকা নেওয়া হলে তা জানাতে পারবেন কর্মী। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।

 

শফিকুর রহমান বলেন, গেল ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গেছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেল মাসের ১৫ তারিখ বায়রাকে বলা হয়েছে যে-সব কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে তাদের চূড়ান্ত তালিকা করতে। কিন্তু তারা সেই তালিকা জমা দেয় নাই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বরাবরই আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।

 

এছাড়া সিন্ডিকেটের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে, সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সকল এজেন্সিগুলো যেন লোক পাঠাতে পারে সেটা চায় সরকার।

 

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী বলেন, বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ৫ তারিখে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সাথে বৈঠক করা হবে। বৈঠক যে-সব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি তাদের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

 

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানান, ২৪ মে’র পর থেকে যাদের ভিসা এবং উড়োজাহাজ টিকিট ছিল শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এছাড়া সেসব কোম্পানিকে মালয়েশিয়া সরকার কালো তালিকা ভুক্ত করেছে এবং যে কোম্পানি কর্মীদের কাজ দেয় নাই সেই কোম্পানিকে কোনো অনুমোদন দেয়া হয় নাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: খাইরু আলম, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়া যেতে পারেনি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী, ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস

আপডেটের সময় : ০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

 

মালয়েশিয়ায় সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পেয়েও দেশটিতে ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। আর এসব কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার কারণ খুঁজে বের করে যারা এর জন্য দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও জানানো হয়।

 

রোববার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য দেন তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) নূর মো. মাহবুবুল হককে প্রধান করে রোববার ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতেও কাজ করবে এ কমিটি। এ ছাড়া যে কেউ চাইলে এই তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বেশি টাকা নেওয়া হলে তা জানাতে পারবেন কর্মী। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।

 

শফিকুর রহমান বলেন, গেল ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বিএমইটি থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়া গেছেন। সেই হিসাবে ১৬ হাজার ৯৭০ জনের কম-বেশি যেতে পারেননি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেল মাসের ১৫ তারিখ বায়রাকে বলা হয়েছে যে-সব কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে তাদের চূড়ান্ত তালিকা করতে। কিন্তু তারা সেই তালিকা জমা দেয় নাই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার বরাবরই আন্তরিক ছিল। পত্রিকায় জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।

 

এছাড়া সিন্ডিকেটের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশ জনশক্তি নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তবে, সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না। সরকার অনুমোদিত সকল এজেন্সিগুলো যেন লোক পাঠাতে পারে সেটা চায় সরকার।

 

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শিগগিরই খোলার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী বলেন, বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ৫ তারিখে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সাথে বৈঠক করা হবে। বৈঠক যে-সব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি তাদের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

 

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানান, ২৪ মে’র পর থেকে যাদের ভিসা এবং উড়োজাহাজ টিকিট ছিল শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এছাড়া সেসব কোম্পানিকে মালয়েশিয়া সরকার কালো তালিকা ভুক্ত করেছে এবং যে কোম্পানি কর্মীদের কাজ দেয় নাই সেই কোম্পানিকে কোনো অনুমোদন দেয়া হয় নাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: খাইরু আলম, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।