ভিসা পেতে কাউকে টাকা দিতে হবে না: ইতালি রাষ্ট্রদূত
- আপডেটের সময় : ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
- / 382
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেছেন, আবেদনকারীকে ওয়ার্কিং পারমিট নেবার জন্য বা ভিসা পাওয়ার জন্য কাউকে টাকা দিতে হবে না, দূতাবাস শুধুমাত্র ছোট ট্যাক্স এবং প্রক্রিয়াকরণ ফি নেয়। এছাড়া বিভিন্ন দালাল এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আগ্রহী না হতে কর্মীদের আহবান জানান ইতালি রাষ্ট্রদূত।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধু প্রতীর দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।
অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, নুল্লা অস্তার (ওয়ার্ক পারমিট) মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হবে না এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কর্মীরা যারা আবেদন করেছেন তারা VFS গ্লোবালকে ইমেল করে, তাহলে তাদের নুল্লা অস্তার মেয়াদ শেষ হবে না, কিন্তু সঠিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার আগে কিছু সময় লাগবে। অনেক সময় গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে ভিসা পেতে দেরি হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, কিভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা ইতালি যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। এছাড়া তিনি আরো জানান, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দিবেন, সেই পত্রের বিপরীতে কম খরচে কর্মী পাঠানো হবে। দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে টিটিসি গুলোতে চাহিদা মত জনবল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো: রুহুল আমিন, বোয়েসেল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনসহ দূতাবাস থেকে আসা অতিথি এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।