মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎসব অনুষ্ঠিত
- আপডেটের সময় : ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
- / 139
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎসব এবং দিবস উপলক্ষ্যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ মে) কুয়ালালামপুরের দেওয়ান বাহাসা দান পুসতাকায় ( ডিবিপি) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, মালয়েশিয়ার পক্ষে তামিল ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া,এলএলজি কালচারাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, ইকরাম, যাস, দোং জং-টি ইউনাইটেড চাইনিজ স্কুল কমিটিস’ অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে কৌশলগত অংশীদার ছিল কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশন । এছাড়া বিভিন্ন এনজিও যৌথ সংগঠক হিসাবে ও জিবিএম (গাবুনগান বর্তীনদাক মালয়েশিয়া) এবং আইপিপিএন (ইনিশিয়েটিফ পেনিসলাহান পেনডিডিকেন ন্যাশনাল) কৌশলগত অংশীদার হিসাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া একটি সুসজ্জিত স্টল তৈরি করে। যেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর লিখিত বই প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ভাষা আন্দোলনের উপর ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিজয়ী ছাত্র -ছাত্রদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর। এছাড়া বক্তব্য রাখেন তামিল ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট এলানজেনিয়াল ভেনুগোপাল, জিবিএম-এর চেয়ারম্যান স্টানলি ইয়ং এবং এমএলডি ও এইচবিআইএ-এর অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান কুগেনেস্বরান তামিলমানি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ডেপুটি হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
অন্যান্য অতিথিরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সকল ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন।
উৎসবে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্কুলের ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এ আয়োজনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়।