ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিতে যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৬০২ অবৈধ অভিবাসী প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কর্মী নেয়ার আশ্বাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন ড. ইউনূস সিঙ্গাপুর থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশ, আটক ২১ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশির ৬ লাখ টাকাতেও মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পারেননি, এখন সব পক্ষের টালবাহানা ! সেপ্টেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা বন্ধ দিল্লি, নিউইয়র্কসহ ৫ মিশনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

রাকিব হাওলাদার: প্রবাস বার্তা
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
  • / 403

 

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানো বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আবারো কোটা পেতে সরকার কাজ করছে। মালয়েশিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না। শ্রম বাজার খোলা হবে এবং খোলা থাকবে।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিজয় ৭১ হলে বোয়েসেলের মাধ্যমে বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের হাতে ভিসা, বিমান টিকেট, এবং বিএমইটি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এইসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়নি। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য যে কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে। তিনি বলেন, নতুন করে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে, তখন নতুন কোটায় আবারো কর্মী যেতে পারবে। এর জন্য সরকার ও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে’র মধ্যে অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো হবে। কোটার মধ্যে যতজন কর্মী বাকি রয়েছে তাদের সবার মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

 

তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তবে আবেদনের ভিত্তিতে তারা যদি সময় না বাড়ায় তাও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আগামী ৩১ তারিখকেই লক্ষ্য করে কাজ করে যাচ্ছি।”

 

প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর প্রবাসী কর্মীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করছে।

 

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রবাসী কর্মীরা হচ্ছে বিদেশে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর। তিনি বলেন, প্রবাসী কর্মীরা বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জন্য দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

 

অনুষ্ঠানে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, কর্মীদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে মালয়েশিয়া গিয়ে পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়া। বিদেশের কাজের জন্য শরীর ও মন মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন এমন কোনো কাজ করা যাবেনা যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও দক্ষ কর্মী পাঠাতে কাজ করবে মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো: রুহুল আমিন।

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। এখন পর্যন্ত মোট ১৩০৮ জন কর্মী পাঠিয়েছে বোয়েসেল। আজ আরও ৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহত প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন (ইউপি) বারহাত-এ যাবে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেল’র মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,  ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

 

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানো বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আবারো কোটা পেতে সরকার কাজ করছে। মালয়েশিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না। শ্রম বাজার খোলা হবে এবং খোলা থাকবে।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিজয় ৭১ হলে বোয়েসেলের মাধ্যমে বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের হাতে ভিসা, বিমান টিকেট, এবং বিএমইটি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এইসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়নি। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য যে কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে। তিনি বলেন, নতুন করে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে, তখন নতুন কোটায় আবারো কর্মী যেতে পারবে। এর জন্য সরকার ও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে’র মধ্যে অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানো হবে। কোটার মধ্যে যতজন কর্মী বাকি রয়েছে তাদের সবার মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

 

তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তবে আবেদনের ভিত্তিতে তারা যদি সময় না বাড়ায় তাও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আগামী ৩১ তারিখকেই লক্ষ্য করে কাজ করে যাচ্ছি।”

 

প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর প্রবাসী কর্মীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করছে।

 

শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রবাসী কর্মীরা হচ্ছে বিদেশে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর। তিনি বলেন, প্রবাসী কর্মীরা বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জন্য দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

 

অনুষ্ঠানে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, কর্মীদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে মালয়েশিয়া গিয়ে পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়া। বিদেশের কাজের জন্য শরীর ও মন মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন এমন কোনো কাজ করা যাবেনা যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও দক্ষ কর্মী পাঠাতে কাজ করবে মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো: রুহুল আমিন।

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। এখন পর্যন্ত মোট ১৩০৮ জন কর্মী পাঠিয়েছে বোয়েসেল। আজ আরও ৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহত প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্ল্যান্টেশন (ইউপি) বারহাত-এ যাবে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেল’র মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মীরা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,  ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।