মালয়েশিয়া পুলিশের তথ্য অনুযায়ী কাজ থেকে ফেরার পথে একটি বন্যহাতির হামলায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশের মো. নওশের আলী(২৯)। কিন্তু নওশের আলীর পরিবারের দাবি নওশের কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান পরিবার।

সোমবার (১৩ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। পরে মঙ্গলবার (১৪ মে) নওশের আলীর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েলফেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মোকসেদ আলী।

মো. মোকসেদ আলী জানান, পাসপোর্ট তথ্য অনুযায়ী  নিহত নওশের আলী টাঙ্গাইল’র বাসাইল নর্থপাড়া এলাকার মো. নওয়াব আলীর ছেলে। নওশের আলীর মায়ের নাম আবেদা বেগম।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিহত নওশের আলীর (স্ত্রীর ভাই) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নওশের আলী নববিবাহিত। গত এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে বাংলাদেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজে যোগদেন।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ যে বলছে হাতির আক্রমণে নওশের নিহত হয়েছে এটা ভিত্তিহীন। কারণ ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভিজা মাটিতে হাতির পায়ের কোন ছাপ নেই। সেখানে মাটিতে শুধু গাড়ির চাকার দাগ দেখা যাচ্ছে এবং মরদেহের উপর সেই গাড়ীর চাকার ভিজে মাটির ছাপ রয়েছে। পাহাড়ি ঢালের উঁচু নিচু রাস্তায় গাড়ী চলাচলের দাগ দেখা যাচ্ছে সেখানে কোন হাতি চলাচলের আলামত দেখা যাচ্ছে না। আমরা ধারণা করছি গাড়ী চাপায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

রোববার (১২ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে দেশটির কেলানতান রাজ্যের গুড়া মুসাংয়ের পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওমের একটি খামারে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয় পুলিশ বলছে, নওশের যে খামারে কাজ করতেন সেখান থেকে সহকর্মীসহ বাসায় ফেরার পথে পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি হাতিকে দেখতে পান তারা।

এসময় একটি বন্যহাতি দৌড়ে তাদের আক্রমণ করে। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নওশের বন্যহাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।