ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার ৪০২ শিশু উদ্ধার, আটক ১৭১ সেপ্টেম্বরের প্রথম সাতদিনে এলো ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকার প্রবাসী আয় প্রবাসীদের ক্ষতিপূরণের অর্থেও পাওয়া যাবে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আমিরাতে ক্ষমা: ১০ দিনে দেশে ফেরার চার শতাধিক আবেদন ৫৭ বাংলাদেশির মুক্তিতে আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ অন্তর্বর্তী সরকারের মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার পুরো ভাষণ  মালয়েশিয়ায় শ্রম শোষণের শিকার ৪ বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্ধার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নিয়োগকর্তা গ্রেফতার, ৭ দিনের রিমান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি দুই কর্মী নিহত

বর্ণিল আয়োজনে মালয়েশিয়ায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • / 144

 

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্রাফট কমপ্লেক্সে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে গান, নাচ, ফ্যাশন শো, অভিনয় এবং ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় এ বর্ণিল আয়োজনে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মহাপরিচালক জুবাইদাহ বিনতি মুখতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান ও তাঁর সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরী আমন্ত্রিত অতিথিদের বৈশাখের উত্তরীয় দিয়ে তাদের উষ্ণভাবে বরণ করে নেন এবং সকলের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

মোঃ শামীম আহসান তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাঙালি সংস্কৃতির দীর্ঘ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনীতিক উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন এটি বাংলাদেশের নববর্ষ উদযাপনে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নববর্ষ আরো সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পহেলা বৈশাখকে সরকারী ছুটি ঘোষণা ও দিনটি সাড়ম্বরে উদযাপনের কথা উল্লেখ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

আলোচনা সভার পরে প্রবাসী বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার শিল্পী ও হাইকমিশন পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অতিথিদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদেরকে ঐতিহ্যবাহী রকমারী বাংলাদেশি খাবার এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ‘রস’ মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।

 

অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে স্থাপিত বাংলাদেশ কর্নার, পালকি, মেহেদী, সাজঘর, ফুচকা, পান ও ঝাল-মুড়ির স্টল, পিঠা ঘর উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। এছাড়া নারীদের প্লাটফর্ম উইমেন এন্ড ই-কমার্স মালয়েশিয়া চ্যাপ্টার ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার ও পণ্য প্রদর্শন করে।

 

এছাড়া, বাংলাদেশি কোম্পানি প্রাণ ও মৈত্রী তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউজ বুথ স্থাপনের মাধ্যমে প্রবাসীদের তাদের সেবা সম্পর্কে অবহিত করে। অতিথিদের মৈত্রী কোম্পানির পক্ষ থেকে কৃষি পণ্য উপহার দেয়া হয়।

 

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ক্রাফট কমপ্লেক্সকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির আলোকে সুসজ্জিত করা। যা সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সকলের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরী করে।

 

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসমূহ বন্ধ থাকায় বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানটি ১৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ২ মে উদযাপিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শতাধিক কূটনীতিক ছাড়াও শিক্ষাবিদ,বাংলাদেশে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশ নেয়া অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসা। এছাড়া কুয়ালালামপুরে প্রশিক্ষণে আসা বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মহাপরিচালকসহ ২৭ জন প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক , প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

শেয়ার করুন

বর্ণিল আয়োজনে মালয়েশিয়ায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন

আপডেটের সময় : ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

 

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্রাফট কমপ্লেক্সে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে গান, নাচ, ফ্যাশন শো, অভিনয় এবং ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় এ বর্ণিল আয়োজনে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মহাপরিচালক জুবাইদাহ বিনতি মুখতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান ও তাঁর সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরী আমন্ত্রিত অতিথিদের বৈশাখের উত্তরীয় দিয়ে তাদের উষ্ণভাবে বরণ করে নেন এবং সকলের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

মোঃ শামীম আহসান তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাঙালি সংস্কৃতির দীর্ঘ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনীতিক উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন এটি বাংলাদেশের নববর্ষ উদযাপনে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নববর্ষ আরো সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পহেলা বৈশাখকে সরকারী ছুটি ঘোষণা ও দিনটি সাড়ম্বরে উদযাপনের কথা উল্লেখ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

আলোচনা সভার পরে প্রবাসী বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার শিল্পী ও হাইকমিশন পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অতিথিদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদেরকে ঐতিহ্যবাহী রকমারী বাংলাদেশি খাবার এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ‘রস’ মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।

 

অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে স্থাপিত বাংলাদেশ কর্নার, পালকি, মেহেদী, সাজঘর, ফুচকা, পান ও ঝাল-মুড়ির স্টল, পিঠা ঘর উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। এছাড়া নারীদের প্লাটফর্ম উইমেন এন্ড ই-কমার্স মালয়েশিয়া চ্যাপ্টার ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার ও পণ্য প্রদর্শন করে।

 

এছাড়া, বাংলাদেশি কোম্পানি প্রাণ ও মৈত্রী তাদের পণ্য প্রদর্শন করে। ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউজ বুথ স্থাপনের মাধ্যমে প্রবাসীদের তাদের সেবা সম্পর্কে অবহিত করে। অতিথিদের মৈত্রী কোম্পানির পক্ষ থেকে কৃষি পণ্য উপহার দেয়া হয়।

 

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ক্রাফট কমপ্লেক্সকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির আলোকে সুসজ্জিত করা। যা সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সকলের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরী করে।

 

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসমূহ বন্ধ থাকায় বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানটি ১৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ২ মে উদযাপিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শতাধিক কূটনীতিক ছাড়াও শিক্ষাবিদ,বাংলাদেশে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশ নেয়া অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসা। এছাড়া কুয়ালালামপুরে প্রশিক্ষণে আসা বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মহাপরিচালকসহ ২৭ জন প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক , প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।