ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় ইসরাইল পণ্য বয়কটের ঢেউ, কেএফসি’র ১শ আউটলেট বন্ধ ঘোষণা

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
  • / 266

 

ইসরাইলকে সমর্থন ও ক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়ার অন্যতম ফাস্ট ফুড চেইন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি। গেল কয়েক মাস ধরে দেশটিতে চলমান ফিলিস্তিন-ইজরাইল ইস্যুতে শুরু হওয়া ইজরাইল পণ্য বয়কটকারীদের অভিযোগ, প্রথম থেকে অন্যায্য ভাবে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন করে আসছে কেএফসি।

 

তারই জের ধরে, কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, টানা কয়েক মাস খুলে রাখার চেষ্টার পর দেশব্যাপী ১০০ টিরও বেশি কেএফসি’র আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

 

স্থানীয় চীনা দৈনিকের এক প্রতিবেদনের বরাতে দ্য ষ্টার অনলাইন ও নিউ স্ট্রাইটিস টাইমসের তথ্য অনুসারে, কিউএসআর ব্র্যান্ড যারা মালয়েশিয়ায় কেএফসি’র ফাস্ট-ফুড চেইন ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালনা করে। তারা জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী ১০৮ টি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে বিটিটিভি।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশটির কেলান্তান রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে এ বয়কট। সেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ বা ২১টি আউটলেট বন্ধ করা হয়েছে। এরপর জোহর রাজ্যে ১৫টি আউটলেট বন্ধ রয়েছে।

 

তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই এবং কম্বোডিয়াতে ৮৫০টির বেশি কেএফসি চেইন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে। সেই সাথে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ৫শ টিরও বেশি পিৎজা হাট রেস্টুরেন্ট চেইন ফাস্ট ফুড সেবা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে।

 

এদিকে দেশটির তীব্র বয়কটে কেএফসি ছাড়াও, স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডের মতো আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গাজায় চলমান সহিংসতার মধ্যে ইসরায়েলকে সমর্থনের কারণে বয়কটের মুখে পড়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল, ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে। তখন থেকেই তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে কেএফসির বিরুদ্ধে।

 

চলমান এই যুদ্ধে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক অফিস এবং এনবিসির তথ্য অনুসারে, গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৫হাজারের বেশি  নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ২৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৪১০ জন ইসরায়েলি । এছাড়া ৯৭ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৯২ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, ২ জন ইসরায়েলি সাংবাদিক এবং ৩ জন লেবানিজ সাংবাদিক রয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার ২২৪ জন কর্মী সহ ১৭৯ জনেরও বেশি কর্মচারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় ইসরাইল পণ্য বয়কটের ঢেউ, কেএফসি’র ১শ আউটলেট বন্ধ ঘোষণা

আপডেটের সময় : ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

 

ইসরাইলকে সমর্থন ও ক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়ার অন্যতম ফাস্ট ফুড চেইন রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি। গেল কয়েক মাস ধরে দেশটিতে চলমান ফিলিস্তিন-ইজরাইল ইস্যুতে শুরু হওয়া ইজরাইল পণ্য বয়কটকারীদের অভিযোগ, প্রথম থেকে অন্যায্য ভাবে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন করে আসছে কেএফসি।

 

তারই জের ধরে, কিউএসআর ব্র্যান্ডস মালয়েশিয়া হোল্ডিংস বারহাদ, টানা কয়েক মাস খুলে রাখার চেষ্টার পর দেশব্যাপী ১০০ টিরও বেশি কেএফসি’র আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

 

স্থানীয় চীনা দৈনিকের এক প্রতিবেদনের বরাতে দ্য ষ্টার অনলাইন ও নিউ স্ট্রাইটিস টাইমসের তথ্য অনুসারে, কিউএসআর ব্র্যান্ড যারা মালয়েশিয়ায় কেএফসি’র ফাস্ট-ফুড চেইন ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালনা করে। তারা জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী ১০৮ টি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে বিটিটিভি।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশটির কেলান্তান রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে এ বয়কট। সেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ বা ২১টি আউটলেট বন্ধ করা হয়েছে। এরপর জোহর রাজ্যে ১৫টি আউটলেট বন্ধ রয়েছে।

 

তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই এবং কম্বোডিয়াতে ৮৫০টির বেশি কেএফসি চেইন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে। সেই সাথে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ৫শ টিরও বেশি পিৎজা হাট রেস্টুরেন্ট চেইন ফাস্ট ফুড সেবা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে।

 

এদিকে দেশটির তীব্র বয়কটে কেএফসি ছাড়াও, স্টারবাকস এবং ম্যাকডোনাল্ডের মতো আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গাজায় চলমান সহিংসতার মধ্যে ইসরায়েলকে সমর্থনের কারণে বয়কটের মুখে পড়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল, ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে। তখন থেকেই তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে কেএফসির বিরুদ্ধে।

 

চলমান এই যুদ্ধে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক অফিস এবং এনবিসির তথ্য অনুসারে, গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৩৫হাজারের বেশি  নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ২৬২ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৪১০ জন ইসরায়েলি । এছাড়া ৯৭ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৯২ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, ২ জন ইসরায়েলি সাংবাদিক এবং ৩ জন লেবানিজ সাংবাদিক রয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার ২২৪ জন কর্মী সহ ১৭৯ জনেরও বেশি কর্মচারী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।