ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মালয়েশিয়ায় সহস্রাধিক কর্মীর মিছিল

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
  • / 408

 

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মালয়েশিয়ায় মিছিল করেছে সহস্রাধিক কর্মী। বুধবার পহেলা মে শ্রম দিবসের দিন রাজধানী কুয়ালালামপুরের দাতারান মারদেকা স্কয়ারে সহস্রাধিক কর্মী একযোগে তাদের ন্যূনতম উচ্চ মজুরি সহ আরও ভালো অধিকারের দাবিতে মিছিল করে।

 

কর্মীরা মেনারা মে ব্যাংক থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য দেশটির পার্টি সোসিয়ালিস মালয়েশিয়া (পিএসএম), পার্টি মুদা, পার্টি বেরসিহ এবং এমপাওয়ারের মতো মোট ৬০টি দলের সমর্থনে এ মিছিল করেছে কর্মীরা।

 

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, মিছিলের আয়োজকরা বলছে, ২০০২ সালের ন্যূনতম মজুরি আদেশের অধীনে বর্তমানে মজুরি মাত্র ১৫০০ রিঙ্গিত, যা বর্তমানে জীবনযাত্রা ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম। তারা আরও উল্লেখ করেছে, সমস্ত কর্মীকে এই পরিমাণ অর্থও তারা দিচ্ছে না।

 

এক বিবৃতিতে সমাবেশের আয়োজকরা বলেছেন, বি ফোর্টি নাগরিকরা (বি৪০), বিশেষ করে কর্মী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছাত্র, অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী এবং বেকাররা উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মধ্যবিত্ত নাগরিকরাও এখন একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।

 

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম ২০০০ রিঙ্গিত মজুরি করা। এটা শুধু নিয়মমাফিক সাধারণ খাতে কর্মীদের জন্য ১০০০ রিঙ্গিত করে নয়। এটি সকলের জন্য বিশেষ করে, অভিবাসী কর্মীদেরও এ অধিকার দিতে হবে।

 

মালয়েশিয়া কিনি’র পিএসএম চেয়ারম্যান মাইকেল জেয়াকুমার দেবরাজ জানিয়েছেন, গত পাঁচ দশকে মালয়েশিয়ার জিডিপি ২৪ গুণ বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের বেতন বেড়েছে মাত্র ১.৩ গুণ।

 

দেবরাজ জানিয়েছেন, দেশের সমৃদ্ধি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তবুও, সুযোগ সুবিধাগুলি এখনো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কর্মীদের জন্য কম রয়েছে। পাবলিক সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ওয়ান আহমেদ দাহলান আব্দুল আজিজ বলেছেন, বেতন বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমস্ত বেসামরিক কর্মচারীদের উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে (বেতনের) কোন সংশোধন করিনি।

 

এ দিকে বুধবার পুত্রজায়ায় শ্রম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বেসামরিক কর্মচারীদের জন্য ১৩ শতাংশের বেশি হারে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।

 

তার অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে পাবলিক অ্যান্ড সিভিল সার্ভিসেসের ইউনিয়ন অফ এমপয়িজ (কিউপ্যাকস) এর সভাপতি দাতুক ডঃ আদনান মাত বলেছেন, জনগণের জন্য দক্ষ এবং ভাল পরিষেবা সরকারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেসামরিক কর্মচারীরা জনগণ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহায়ক, তাই তাদের সম্পূর্ণ আস্থা ও দায়িত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 

আদনান বলেন, বেসামরিক কর্মচারীরা যদি উচ্চ মানের, অত্যন্ত সক্ষম এবং গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করে, তাহলে তা সরকারি খাতের সেবার বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ ও কমাতে পারে।

শেয়ার করুন

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মালয়েশিয়ায় সহস্রাধিক কর্মীর মিছিল

আপডেটের সময় : ০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

 

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মালয়েশিয়ায় মিছিল করেছে সহস্রাধিক কর্মী। বুধবার পহেলা মে শ্রম দিবসের দিন রাজধানী কুয়ালালামপুরের দাতারান মারদেকা স্কয়ারে সহস্রাধিক কর্মী একযোগে তাদের ন্যূনতম উচ্চ মজুরি সহ আরও ভালো অধিকারের দাবিতে মিছিল করে।

 

কর্মীরা মেনারা মে ব্যাংক থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য দেশটির পার্টি সোসিয়ালিস মালয়েশিয়া (পিএসএম), পার্টি মুদা, পার্টি বেরসিহ এবং এমপাওয়ারের মতো মোট ৬০টি দলের সমর্থনে এ মিছিল করেছে কর্মীরা।

 

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, মিছিলের আয়োজকরা বলছে, ২০০২ সালের ন্যূনতম মজুরি আদেশের অধীনে বর্তমানে মজুরি মাত্র ১৫০০ রিঙ্গিত, যা বর্তমানে জীবনযাত্রা ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম। তারা আরও উল্লেখ করেছে, সমস্ত কর্মীকে এই পরিমাণ অর্থও তারা দিচ্ছে না।

 

এক বিবৃতিতে সমাবেশের আয়োজকরা বলেছেন, বি ফোর্টি নাগরিকরা (বি৪০), বিশেষ করে কর্মী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছাত্র, অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী এবং বেকাররা উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মধ্যবিত্ত নাগরিকরাও এখন একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।

 

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম ২০০০ রিঙ্গিত মজুরি করা। এটা শুধু নিয়মমাফিক সাধারণ খাতে কর্মীদের জন্য ১০০০ রিঙ্গিত করে নয়। এটি সকলের জন্য বিশেষ করে, অভিবাসী কর্মীদেরও এ অধিকার দিতে হবে।

 

মালয়েশিয়া কিনি’র পিএসএম চেয়ারম্যান মাইকেল জেয়াকুমার দেবরাজ জানিয়েছেন, গত পাঁচ দশকে মালয়েশিয়ার জিডিপি ২৪ গুণ বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের বেতন বেড়েছে মাত্র ১.৩ গুণ।

 

দেবরাজ জানিয়েছেন, দেশের সমৃদ্ধি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তবুও, সুযোগ সুবিধাগুলি এখনো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কর্মীদের জন্য কম রয়েছে। পাবলিক সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ওয়ান আহমেদ দাহলান আব্দুল আজিজ বলেছেন, বেতন বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমস্ত বেসামরিক কর্মচারীদের উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে (বেতনের) কোন সংশোধন করিনি।

 

এ দিকে বুধবার পুত্রজায়ায় শ্রম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া বেসামরিক কর্মচারীদের জন্য ১৩ শতাংশের বেশি হারে বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।

 

তার অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে পাবলিক অ্যান্ড সিভিল সার্ভিসেসের ইউনিয়ন অফ এমপয়িজ (কিউপ্যাকস) এর সভাপতি দাতুক ডঃ আদনান মাত বলেছেন, জনগণের জন্য দক্ষ এবং ভাল পরিষেবা সরকারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেসামরিক কর্মচারীরা জনগণ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহায়ক, তাই তাদের সম্পূর্ণ আস্থা ও দায়িত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 

আদনান বলেন, বেসামরিক কর্মচারীরা যদি উচ্চ মানের, অত্যন্ত সক্ষম এবং গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করে, তাহলে তা সরকারি খাতের সেবার বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ ও কমাতে পারে।