কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হলো ডুয়ামের মেগা ইভেন্ট
- আপডেটের সময় : ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
- / 300
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়া (ডুয়াম) আয়োজিত মেগা ইভেন্টে,আউটস্ট্যান্ডিং বাংলাদেশি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের সম্মান জানাতে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডুয়ামের মেগা ইভেন্ট। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালামপুর ক্লাব আমানে এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশিদের গৌরবগাঁথা অর্জন গুলো বাংলাদেশিরা বিভিন্ন সেক্টরে সুনামের সাথে কাজ করে বাংলাদেশকে পজিটিভলি ব্র্যান্ডিং করছে তা সকলের নিকট তুলে ধরাই ছিল এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বের টপ ১ শতাংশ, ২ শতাংশ সাইটেড সায়েন্টিস্ট সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরদের সম্মানিত করা হয়। এছাড়া মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টপ র্যাঙ্কিং করছে তাদের সম্মানিত করা হয়। প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে যারা প্রফেশনালি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। অর্গানাইজিং কমিটির আহবায়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন নাহারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান প্রথমেই তিনি নিজেকে একজন গর্বিত ঢাবিয়ান হিসেবে পরিচয় দেন এবং এরকম একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশি এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের কাজ মাধ্যমে যেভাবে পজিটিভ বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
হাইকমিশনার বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিপুণতার সাথে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিপুণতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সকল প্রবাসীদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান।
শামীম আহসান বলেন, ডুয়াম যখন আমাকে অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ করে তখন আমি না করতে পারিনি। কারণ আমিও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় একটি গর্বের জায়গা। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া শেষ করে বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট হতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট রেজাল্ট নিয়ে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
অর্গানাইজিং কমিটির পক্ষ থেকে সদস্য সচিব আলমগীর চৌধুরী আকাশ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে, এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের সিলেকশন প্রক্রিয়াসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। ইভেন্ট অর্গানাইজিং কমিটির ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন টিমের সদস্য আনিকা ইসলাম অর্পা এবং ইসমাত জাহান ঈশিতা। তাদের দুজনের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানে যে সকল বাংলাদেশিরা শিক্ষা এবং কমিউনিটি উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন তাদেরকে ৩ ক্যাটাগরিতে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি অ্যাক্যাডেমিশিয়ান হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬জন শিক্ষকক, অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে ১৬ জন এবং অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি প্রফেশনাল হিসেবে ৩ জন সর্বমোট ৩৫ জনকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সাংবাদিক আহমাদুল কবির, মোস্তফা ইমরান রাজু ও মোহাম্মদ আলীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার ফর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অফ আইআইইউএম এর ডীন প্রফেসর শাহরুল বিন নাঈম সাদিক, ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স এর ডেপুটি ডিন প্রফেসর রোমজি বিন রোসমান, ইউনিভার্সিটি মালায়া সহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়ান লোকাল ডীন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর কনসুল্যর মো: মোর্শেদ আলম, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর মাহবুব আলম শাহ। লায়ন হারুন উর রশিদ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভারত সহ প্রায় ১০টি দেশের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাইসা তাহসিন অহিয়া, মহুয়া, মোঃ মামুনুর রশিদ , কাজী শারমিন রহমান রুম্পা, মোঃ পলাশ হোসেন এবং মালয়েশিয়ান সঙ্গীত শিল্পী ফাতিহা। কবিতা আবৃত্তি করেন রাবাকা সুলতানা জেরিন, পহেলা বৈশাখের নাচে মোহাবিষ্ট করে রাখেন শুভ্রা এবং জাদু পরিবেশন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার প্রফেসর ড. মোতাকাব্বির।
পুরো অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাফেল ড্র যেখানে প্রথম পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় কুয়ালামপুর টু ঢাকা এয়ার টিকেট, ২য় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় কুয়ালালামপুর টু লাংকাউই এয়ার টিকেট, ৩য় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় কুয়ালালামপুর টু পেনাং এয়ার টিকেট সহ মোট ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।