ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বায়রা’র সঙ্গে আলোচনা করেই বিদেশে কর্মী পাঠানোর খরচ কমাতে হবে

রাকিব হাওলাদার: প্রবাস বার্তা
  • আপডেটের সময় : ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 270

 

বিদেশে কর্মী পাঠানোর খরচ কমাতে এবং তা বাস্তবায়ন করতে বায়রা’র সঙ্গে আলোচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সি খরচ নেবে। খরচ না নিলে তারা কর্মী পাঠাতে পারবে না। যদি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান রিক্রুটিং এজেন্সিকে টাকা না দেয়, তাহলে এখান থেকে দিতে হবে। তবে অবশ্যই সেই খরচ যৌক্তিক হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। বায়রা সভা কক্ষে এই মতবিনিময় আয়োজন করে ওয়্যারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও সংসদীয় ককার্স অন মাইগ্রেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট।

 

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আইনজীবী রাখার কথা বলা হয়েছে। এর জন্য সরকারকে টাকা দিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে কল্যাণ বোর্ড থেকে অ্যাম্বাসির ফাইনান্সিয়াল রাখা হয়। অথচ কল্যাণ বোর্ডে টাকা দিচ্ছে কর্মীরা। আর সেই কল্যাণ বোর্ডের টাকা দিয়ে গাড়ি কিনা হচ্ছে, ফার্নিচার কেনা হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, গার্মেন্টস এবং প্রবাস খাতের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। গার্মেন্টস খাতে একটা সুবিধা হচ্ছে এখানকার কর্মীরা সুশৃঙ্খল। কিন্তু প্রবাস সেক্টরের কর্মীরা তা হতে পারছে না। তারা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বায়ার’র উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠিয়েছি, তার চাকরি হয়েছে, এটাই শেষ। সেটা হওয়া উচিত নয়। বায়ার’র উচিত এই কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা এবং তাদের জন্য কথা বলা।

 

আনিসুল ইসলাম মন্ত্রণালয়েকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই যে বাজেটের কথা বলা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়কে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেটা খরচ করতে পারছে না। এটার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে নতুন করা টিটিসি গুলো। একটি টিটিসিও কোনো কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে বায়রা’র সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন দূতাবাসে সেবার পাশাপাশি বিদেশে সেবা সহজীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কর্মীদের কিছু ছোট ছোট সমস্যা থাকে। যেগুলো দূতাবাসে গিয়ে সমাধান করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। কারণ কর্মীরা যেখানে থাকে সেখান থেকে দূতাবাস বা হাইকমিশন অনেক দূরে হয়, বিশেষ করে সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়া। সুতরাং কর্মীদের এসব সমস্যাগুলো এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাধান করতে পারবে। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

 

ওয়্যারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের মাধ্যমে যে দেশগুলোতে কর্মী যায় সেখানে বায়রা’র নজরদারি করতে হবে। এছাড়া কর্মীদের সঠিক বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা এবং কাজ শেষে নিরাপদে দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে হবে।

 

বায়রা’র মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী শ্রম অভিবাসনের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মীর বিদেশে যেতে তিন মাসের বেশি সময় লাগে। যেখানে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে। এই কারণেই নিয়োগকর্তারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

 

অভিবাসন বরাবরই একটি অবহেলিত খাত উল্লেখ করে অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদ সদস্যদের ককার্স’র ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই খাতে বাজেট নগণ্য। কোনো এক অজানা কারণে, সরকার কখনোই দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি।

 

প্রবাসীদের কল্যাণ ও ক‍‍র্মসংস্থানে দূতাবাস ও বিএমইটিতে টাকা ছাড়া কাজ হয় না বলেও জানান বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বায়রাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রবাস খাতের সমস্যা আমাদেরকে জানান যাতে এই সমস্যা নিয়ে সংসদে কথা বলতে পারি। এছাড়া তিনি আরো বলনে, প্রবেশ খাতের যত অংশীজন আছে সবাইকে একসাথে নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তাহলেই এই খাতের সমস্যা সমাধান হবে।

 

বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব মো: টিপু সুলতান রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নামে মানব পাচার দমন আইনে মামলা না দিতে পদক্ষেপের দাবি জানান। তিনি বলেন, থানায় মানব পাচার আইনে মামলা নিচ্ছেনা এটি ঠিক, কিন্তু থানা থেকে পরামর্শ দেয় যে কোর্টে গিয়ে মামলা করতে। এই মানব পাচার আইনে এখনো মামলা হচ্ছে, রিক্রুটিং এজেন্সি বা বায়রা’র সদস্যরা এখনো জেলে যাচ্ছে ভুক্তভোগী হচ্ছে। সুতারাং যারা বৈধ ভাবে কর্মসংস্থান করে তাদের অন্য আইনে মামলা দিলেও যেন মানব পাচার আইনে মামলা না দেয়া হয়। আর যারা সত্যি কারের মানব পাচার করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের ভোগান্তি বন্ধে মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসকে আহবান জানিয়েছেন বায়রা’র সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী। বায়রা’র আরেক সহ-সভাপতি আবুল বারাকাত বলেছেন, রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নানাভাবে জটিলতা ফেলেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে থেকে কর্মীর ডিমান্ড অনুমতি নিতে হলে যারা বিদেশ যাবে তাদের নাম জমা দিতে হবে। এটা আগে ছিল না, নতুন টিম আসার পর এটা চালু হয়েছে। নাম জমা না দিলে ফাইল আটকিয়ে রাখা হয়। কর্মীর নাম জমা দিতে হলে ডিমান্ড অনুমতি নেয়ার পর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে তাদের ভিসা করে তারপর নাম জমা দিতে পারবো। এটা একটি জটিল পক্রিয়া।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ককার্স’র সদস্য ও সাবেক এমপি আহসান আদেলুর রহমান, বায়রা সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী, বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিস রাহনুমা সালাম খানসহ খাত সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

বায়রা’র সঙ্গে আলোচনা করেই বিদেশে কর্মী পাঠানোর খরচ কমাতে হবে

আপডেটের সময় : ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

 

বিদেশে কর্মী পাঠানোর খরচ কমাতে এবং তা বাস্তবায়ন করতে বায়রা’র সঙ্গে আলোচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সি খরচ নেবে। খরচ না নিলে তারা কর্মী পাঠাতে পারবে না। যদি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান রিক্রুটিং এজেন্সিকে টাকা না দেয়, তাহলে এখান থেকে দিতে হবে। তবে অবশ্যই সেই খরচ যৌক্তিক হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। বায়রা সভা কক্ষে এই মতবিনিময় আয়োজন করে ওয়্যারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও সংসদীয় ককার্স অন মাইগ্রেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট।

 

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আইনজীবী রাখার কথা বলা হয়েছে। এর জন্য সরকারকে টাকা দিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে কল্যাণ বোর্ড থেকে অ্যাম্বাসির ফাইনান্সিয়াল রাখা হয়। অথচ কল্যাণ বোর্ডে টাকা দিচ্ছে কর্মীরা। আর সেই কল্যাণ বোর্ডের টাকা দিয়ে গাড়ি কিনা হচ্ছে, ফার্নিচার কেনা হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, গার্মেন্টস এবং প্রবাস খাতের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। গার্মেন্টস খাতে একটা সুবিধা হচ্ছে এখানকার কর্মীরা সুশৃঙ্খল। কিন্তু প্রবাস সেক্টরের কর্মীরা তা হতে পারছে না। তারা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বায়ার’র উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠিয়েছি, তার চাকরি হয়েছে, এটাই শেষ। সেটা হওয়া উচিত নয়। বায়ার’র উচিত এই কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা এবং তাদের জন্য কথা বলা।

 

আনিসুল ইসলাম মন্ত্রণালয়েকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই যে বাজেটের কথা বলা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়কে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেটা খরচ করতে পারছে না। এটার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে নতুন করা টিটিসি গুলো। একটি টিটিসিও কোনো কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে বায়রা’র সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন দূতাবাসে সেবার পাশাপাশি বিদেশে সেবা সহজীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কর্মীদের কিছু ছোট ছোট সমস্যা থাকে। যেগুলো দূতাবাসে গিয়ে সমাধান করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। কারণ কর্মীরা যেখানে থাকে সেখান থেকে দূতাবাস বা হাইকমিশন অনেক দূরে হয়, বিশেষ করে সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়া। সুতরাং কর্মীদের এসব সমস্যাগুলো এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাধান করতে পারবে। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

 

ওয়্যারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসের মাধ্যমে যে দেশগুলোতে কর্মী যায় সেখানে বায়রা’র নজরদারি করতে হবে। এছাড়া কর্মীদের সঠিক বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা এবং কাজ শেষে নিরাপদে দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে হবে।

 

বায়রা’র মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী শ্রম অভিবাসনের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মীর বিদেশে যেতে তিন মাসের বেশি সময় লাগে। যেখানে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে। এই কারণেই নিয়োগকর্তারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

 

অভিবাসন বরাবরই একটি অবহেলিত খাত উল্লেখ করে অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদ সদস্যদের ককার্স’র ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই খাতে বাজেট নগণ্য। কোনো এক অজানা কারণে, সরকার কখনোই দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি।

 

প্রবাসীদের কল্যাণ ও ক‍‍র্মসংস্থানে দূতাবাস ও বিএমইটিতে টাকা ছাড়া কাজ হয় না বলেও জানান বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বায়রাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রবাস খাতের সমস্যা আমাদেরকে জানান যাতে এই সমস্যা নিয়ে সংসদে কথা বলতে পারি। এছাড়া তিনি আরো বলনে, প্রবেশ খাতের যত অংশীজন আছে সবাইকে একসাথে নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তাহলেই এই খাতের সমস্যা সমাধান হবে।

 

বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব মো: টিপু সুলতান রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নামে মানব পাচার দমন আইনে মামলা না দিতে পদক্ষেপের দাবি জানান। তিনি বলেন, থানায় মানব পাচার আইনে মামলা নিচ্ছেনা এটি ঠিক, কিন্তু থানা থেকে পরামর্শ দেয় যে কোর্টে গিয়ে মামলা করতে। এই মানব পাচার আইনে এখনো মামলা হচ্ছে, রিক্রুটিং এজেন্সি বা বায়রা’র সদস্যরা এখনো জেলে যাচ্ছে ভুক্তভোগী হচ্ছে। সুতারাং যারা বৈধ ভাবে কর্মসংস্থান করে তাদের অন্য আইনে মামলা দিলেও যেন মানব পাচার আইনে মামলা না দেয়া হয়। আর যারা সত্যি কারের মানব পাচার করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের ভোগান্তি বন্ধে মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসকে আহবান জানিয়েছেন বায়রা’র সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী। বায়রা’র আরেক সহ-সভাপতি আবুল বারাকাত বলেছেন, রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের নানাভাবে জটিলতা ফেলেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে থেকে কর্মীর ডিমান্ড অনুমতি নিতে হলে যারা বিদেশ যাবে তাদের নাম জমা দিতে হবে। এটা আগে ছিল না, নতুন টিম আসার পর এটা চালু হয়েছে। নাম জমা না দিলে ফাইল আটকিয়ে রাখা হয়। কর্মীর নাম জমা দিতে হলে ডিমান্ড অনুমতি নেয়ার পর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে তাদের ভিসা করে তারপর নাম জমা দিতে পারবো। এটা একটি জটিল পক্রিয়া।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ককার্স’র সদস্য ও সাবেক এমপি আহসান আদেলুর রহমান, বায়রা সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী, বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিস রাহনুমা সালাম খানসহ খাত সংশ্লিষ্টরা।